ঢাকা, সোমবার, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৮ মহররম ১৪৪৭

ক্রিকেট

বিদায়ী মাশরাফির অন্যরকম প্রত্যাবর্তন

মহিবুর রহমান, স্পেশাল করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:১৬, এপ্রিল ৭, ২০১৭
বিদায়ী মাশরাফির অন্যরকম প্রত্যাবর্তন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বিদেশ থেকে এর আগেও বহুবার দেশে ফিরেছেন টাইগার ওয়ানডে দলপতি মাশরফি বিন মর্তুজা। কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে, কখনও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে। তখন তাকে যতটা চঞ্চল ও হাসিমুখে দেখা গেছে এবার সেই মাশরাফিকে দেখা গেল না।

এবারের মাশরাফি ভীষণ শান্ত ও সৌম্য। চোখে মুখে সেই উচ্ছ্বলতা নেই, নেই স্বভাবসুলভ বাচন ভঙ্গিও।

লঙ্কা সফর শেষে যেন নির্জীব এক মাশরাফির প্রত্যাবর্তন দেখলো জন্মভূমি।

দলের বাকি সদস্যদেরও তেমন উল্লাসিত দেখা গেল না। সবাই কেমন চুপচাপ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তারা ম্যাচ হারলেও সিরিজতো হারেনি! কিন্তু তারপরেও কেমন চাপা এক কষ্ট সবার মধ্যেই দেখা গেল। যেন তাদের বুকে কেউ পাথর চাপিয়ে দিয়েছে। যেন প্রিয় কিছু হারানোর তীব্র কষ্টে তাদের মন ভেঙে যাচ্ছে। কিন্তু কাউকে কিছুই বলার নেই।  

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ দল এভাবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি কক্ষে প্রবেশ করার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে তাদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থণা জানানো হয়। দলের সাথে কলম্বো থেকে এসেছেন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। আর ঢাকা থেকে সেখানে যোগ দিয়েছেন সহ-সভাপতি মাহবুব আনাম ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ঠিক বামপাশে বসলেন মাশরাফি। টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক বসলেন মাশরাফিকে ঘিরে। ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরার ক্লিক ক্লিক শব্দ ও ফ্ল্যাশের আলোয় ভেসে গেল পুরো ভিআইপি কক্ষ, কিন্তু হাসির লেশ পাওয়া গেল না কারও মধ্যে। কেমন নিথর ও নিস্তব্ধ একটি পরিবেশ আচ্ছন্ন হয়ে থাকলো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওই বায়ুরুদ্ধ কক্ষটি। এমন পরিবেশের মধ্যদিয়েই শুরু হয় সাংবাদিকদের প্রশ্ন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, ৭ এপ্রিল ২০১৭
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।