ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘হ্যাটট্রিক হিরো’ মালিঙ্গার হতাশা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১৭
‘হ্যাটট্রিক হিরো’ মালিঙ্গার হতাশা ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই তামিম ইকবালকে বোল্ড করেছিলেন শ্রীলঙ্কার পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। পরের ম্যাচে তো হ্যাটট্রিকই করে বসলেন। দুর্দান্ত পারফর্মে ইনজুরি ফেরত এই তারকা বোলার হয়েছেন সিরিজ সেরা।

দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯তম ওভারে হ্যাটট্রিক করেন মালিঙ্গা। একে একে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মুশফিক, মাশরাফি আর মিরাজকে।

এরপরও ম্যাচ হেরেছিল তার দল। দুই-তিনদিন পেরিয়ে গেলেও টাইগারদের বিপক্ষে হারের হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারেননি মালিঙ্গা। আইপিএলের দশম আসরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলতে গিয়ে শুনিয়েছেন সেই হতাশার কথা।

দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে প্রথম সিরিজেই সেরা নির্বাচিত হন মালিঙ্গা। দ্বিতীয় ম্যাচে হ্যাটট্রিকের সুবাদে হয়তো ম্যাচ সেরাও হতে পারতেন তিনি। কিন্তু, ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে লঙ্কানদের হাতের মুঠো থেকে ম্যাচ বের করে নেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ওঠে সাকিবের হাতে।

দ্বিতীয় ম্যাচটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মালিঙ্গা জানান, ‘হ্যাঁ, এটা আমার আরেকটি হ্যাটট্রিক ছিল। চার কিংবা পাঁচটি হ্যাটট্রিক হয়েছে... সম্ভবত পাঁচটিই হবে (পরিসংখ্যান বলছে চারটি)। ওয়াসিম আকরামের থেকে বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি হ্যাটট্রিক আছে আমার। একটি করে করেছি অস্ট্রেলিয়া, কেনিয়া আর সবশেষটি বাংলাদেশের বিপক্ষে। ’

২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ বলে চারটি উইকেট নিয়েছিলেন মালিঙ্গা। কোন হ্যাটট্রিককে এগিয়ে রাখবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘আমি আসলে কোনো হ্যাটট্রিককে আলাদা করে বিবেচনা করিনা। সবগুলোই আমার কাছে স্পেশ্যাল। সবগুলো হ্যাটট্রিকই আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়, আনন্দ দেয়। এটা আমার কঠোর পরিশ্রমের ফসল। ’

দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টাইগারদের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ঘুরে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ফলে, ১-১ এ সমতায় শেষ হয় সিরিজটি। শেষ ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মালিঙ্গা যোগ করেন, ‘হ্যাঁ, আমি যথেষ্টই হতাশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করার পরও আমার দল হেরেছে। শেষ ম্যাচে ওদের বিপক্ষে না জেতায় আমার মতো দলের বাকি সদস্যরাও হতাশ। ’

আইপিএলের দশম আসরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে প্রথম ম্যাচে খেলেননি মালিঙ্গা। পুনে সুপারজায়ান্টের বিপক্ষে ম্যাচটিতে নামা হয়নি টাইগারদের বিপক্ষে জাতীয় দলের খেলা থাকায়। হারের হতাশা নিয়ে আইপিএল শুরু করতে হচ্ছে মালিঙ্গাকে।

উল্লেখ্য, মালিঙ্গা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি হ্যাটট্রিকের কথা বললেও পরিসংখ্যানের রেকর্ড বলে তার হ্যাটট্রিকের সংখ্যা চারটি। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চার বলে ৪টি উইকেট নেওয়াকে তিনি বলছেন ‘ডাবল হ্যাটট্রিক’। কারণ, ক্রিকেটের রেকর্ড বইয়ে এটিকে লেখা হয় ডাবল হ্যাটট্রিক হিসেবেই। সেই বিবেচনাতেই মালিঙ্গা সব মিলিয়ে পাঁচটি হ্যাটট্রিক দাবি করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ০৮ এপ্রিল ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।