ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং হবে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৭
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং হবে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাসকিন আহমেদ

প্রথমে দশ দিনের ক্যাম্প। এরপর তিন জাতির সিরিজ। তারপরেই আইসিসির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এর মাঝে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ভিন্ন কন্ডিশনে মানিয়ে নিতেও পারবে টাইগাররা। তবে মাশরাফি বাহিনীর সামনে আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটাই সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং ও কঠিন হবে।

এমনটা মনে করছেন খোদ হাথুরুসিংহার শিষ্যরা। তিন জাতি সিরিজে অংশ নিতে রাজধানী ছাড়ার আগে সেই চ্যালেঞ্জের কথেই জানালেন তারা।

    

ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েসের মুখে সেই চ্যালেঞ্জের সুর, ‘আমরা আশাবাদী। সামনের টুর্নামেন্টটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। সবাই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো। ’

চলতি বছরের পহেলা জুন থেকে শুরু হচ্ছে প্রতীক্ষিত এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি টুর্নামেন্ট। ‘এ’ গ্রুপে প্রতিপক্ষ হিসেবে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।

এজন্য প্রত্যেকটা ম্যাচই ম্যাশ বাহিনীর কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

টুর্নামেন্টের আগে তিন জাতির সিরিজ অভিজ্ঞতা ও আত্মবিশ্বাস গড়ে দেবে বলে মনে করেন তিনি, প্রত্যেকটি ম্যাচ জয় লাভ করতে চাই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। তার আগে ট্রাইনেশন টুর্নামেন্ট সেই কনফিডেন্স দেবে। ওই ধরনের কন্ডিশনে আমরা অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছি। সেটা কাজে দেবে। আমাদের খেলোয়াড়রা যদি সর্বোচ্চ দিতে পারে তাহলে ভালো কিছু আশা করা যায়।

চলমান প্রিমিয়ার লিগে স্কোয়াডে থাকা প্রায় সব খেলোয়াড়ই পুরো ফর্মে আছেন। সেটাও কাজে দিবে বলে মনে করেন দেশের এই লিটল মাস্টার, ‘যেহেতু সবাই প্রিমিয়ার লিগে ভালো খেলেছে এটা কাজে লাগতে পারে। আর যতই প্রাকটিস করুক, ম্যাচ না খেললে ভালো করা কঠিন। তাই সবাই ভালো খেলেছে প্রিমিয়ারে। আশা করছি ভালো কিছুই হবে। ’

তিন জাতির সিরিজের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেকে মেলে ধরতে চান তাসকিন আহমেদ, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেকেন্ড রাউন্ডে যেতে চাই। সবাই ভালো খেললে আশা করা যায় ইতিবাচক কিছু হবে।

প্রথমে ১০ দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প। এরপর সাসেক্সের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ তারপর ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তিন জাতি সিরিজ। কন্ডিশনে মানিয়ে নিয়ে তারপরই চ্যাম্পিয়েন্স ট্রফি। চূড়ান্ত পর্বে উঠতে পারলে আরও কিছুদিন অবস্থান করতে হতে পারে লাল-সবুজ বাহিনীদের।

সবমিলিয়ে দেড়-দুই মাসের সফরে হাতুরুসিংহের শিষ্যরা। সেজন্য পরিবার ছেড়ে অনেকের মন কাঁদছে। তাই পরিবার নিয়েই বিমানবন্দরে অনেকে এসেছেন। দোয়া নিয়ে যাচ্ছেন দেশের হয়ে কিছু দেখাতে।

তাসকিন বলেন, দেশের স্বার্থে-জাতির স্বার্থে সেক্রিফাইস করতে হয়। ভালো কিছু করলেই শান্তি লাগে।

বিদেশের মাটিতে ভালো পারফরমেন্স করাটাই টাইগারদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষ্য নিয়ে দেশ ছেড়েছেন মাশরাফি বাহিনী।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
জেএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।