ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

পাকিস্তানের ক্রিকেটকে ধ্বংস করেছেন ওয়াকার!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৭
পাকিস্তানের ক্রিকেটকে ধ্বংস করেছেন ওয়াকার! ছবি: ওয়াকার ইউনিস (ফাইল ফটো)

বাংলাদেশ সফরে পাকিস্তানের ধবলধোলাইয়ের কথা এখনও ভোলেননি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কামরান আকমল। সেই সফরে পাকিস্তানের কোচ হিসেবে এসেছিলেন দুই মেয়াদে কাজ করা দেশটির কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনিস। দুই মেয়াদেই কোচ হিসেবে ব্যর্থ ছিলেন তিনি, মনে করেন কামরান।

২০১০-১১ মেয়াদে প্রথমবার পাকিস্তান জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ করেন ৮৭ টেস্ট খেলা ওয়াকার। আর দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৪-১৬ পাকিস্তানের কোচ ছিলেন ২৬২ ওয়ানডে খেলা এই কিংবদন্তি পেসার।

৫৩ টেস্ট আর ১৫৭ ওয়ানডে খেলা ৩৫ বছর বয়সী কামরানের মতে, ‘ওয়াকার ভাই কোচ হিসেবে খুবই বাজে পারফরমার ছিলেন। ব্যর্থ একজন কোচ হিসেবে তিনি পাকিস্তান দলকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছেন। দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিয়েছেন তিনি। নিজের সময়ে তিনি প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটারকেও দলের বাইরে রেখেছেন। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার নেশা আর প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড়দের চাপে রাখা জাতীয় দলকে দুই থেকে তিন বছর পিছিয়ে দিয়েছিল। ’

কামরান আকমল আরও যোগ করেন, ‘আমি জানি না কে ওয়াকার ভাইয়ের সাথে ক্রিকেটারদের টানাপোড়ন লেগে থাকতো। কিছু কিছু ক্রিকেটারকে তিনি দেখতেই পারতেন না। পাকিস্তান দলকে এগিয়ে নেওয়ার তার কোনো চেষ্টাই ছিল না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০১৫ বিশ্বকাপে তিনি ইউনুস খানকে ওপেনিং করার জন্য চেষ্টা করতে থাকেন। আবার আবার সরফরাজ আহমেদকে টুর্নামেন্টে দেরিতে খেলানো নিয়ে তার ঝামেলা ছিল। ’

২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর কোচের পদে থাকেননি ওয়াকার। বোর্ডের চাপে কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তার আগে একাধিকবার ঝামেলায় জড়িয়েছেন কামরান আকমলের ভাই উমর আকমলের সঙ্গে। কামরান জানান, ‘ওয়াকার ভাই ক্রিকেটার হিসেবে সফল ছিলেন এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু, কোচ হিসেবে তার ব্যর্থতা সবার নজরে এসেছে। আমার মনে আছে এশিয়া কাপে উমর সেঞ্চুরি হাঁকালেও পরের ম্যাচে তাকে আফ্রিদি আর অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের পরে নামানো হয়েছিল। ওয়াকার ভাইয়ের কারণেই পাকিস্তানের র‌্যাংকিংয়ে অবনতি হয়েছিল। ’

ওয়াকার যুগে পাকিস্তান দলে যাওয়া আসার মধ্যে থাকতে হয়েছে কামরানকে। টেস্টে ৩৭৩ আর ওয়ানডেতে ৪১৬ উইকেটের মালিক ওয়াকার প্রসঙ্গে কামরান আরও জানান, ‘আমি বব উলমার থেকে শুরু করে আরও অনেক কোচের অধীনেই খেলেছি। আমি বলতে পারি তারা প্রত্যেকেই দলকে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু, ওয়াকার ভাইয়ের ক্ষেত্রে সেটা ছিল না। তিনি অনুশীলনে কঠোর ছিলেন কিন্তু খেলোয়াড়দের স্কিল দেখার মতো তার আগ্রহ ছিল না। খেলোয়াড়দের উন্নতি ধরার মতো কোনো তার ক্ষমতা ছিল না, ছিল শুধু পাকিস্তানের ক্রিকেটকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা। ’

ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ সফরে এসে ওয়াকারের শিষ্যরা টাইগারদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। এখনও সেই চাপা দুঃখ ভুলতে পারেননি কামরান, ‘আমরা বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ সফরে গিয়ে হেরেছি। সেই সফরে ওয়াকার ভাই ছয়-সাতজন নতুন ক্রিকেটারকে নিয়ে যান। তাতে, কি হলো, বাংলাদেশ সফরে গিয়ে আমরা প্রথমবারের মতো ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজে হেরে বসলাম। কোচিং ক্যারিয়ারে ওয়াকার ভাইয়ের কোনো ধারণাই নেই। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ২৭ জুলাই ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।