ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২ মহররম ১৪৪৭

ক্রিকেট

চাম্পাকার পাঠশালায় ১৩ তরুণ পেসার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:২৮, নভেম্বর ৫, ২০১৭
চাম্পাকার পাঠশালায় ১৩ তরুণ পেসার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রোববার (৫ নভেম্বর) বিসিবির একাডেমি মাঠে ঢুকতেই চোখে পড়লো বেশ কয়েকজন তরুণ পেসার সেন্টার উইকেটে বোলিং অনুশীলন করছেন। আর তাদের গুরুর ভূমিকা পালন করছেন বিসিবির লঙ্কান বোলিং কোচ চাম্পাকা রামানায়েকে। একটি ওভার শেষ হলেই পেসারদের উচ্চস্বরে বলছেন ‘দিস ইজ ইয়র দ্য লাস্ট বল অব দ্য ওভার’।

আবার কখনও কখনও কোনো বোলারের ডেলিভারি শেষে তাকে পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রতিটি বোলারের ডেলিভারিই দেখছিলেন সতর্ক দৃষ্টিতে।

হাতে রাখা খাতায় কিছু একটা লিখছেন তিনি। বুঝতে বাকি থাকলো না, কে কেমন ডেলিভারি দিচ্ছেন তা তিনি ওই খাতায় লিপিবদ্ধ করছেন।

এভাবে ঘণ্টা দু’য়েক টানা অনুশীলন চললো। অনুশীলন শেষে তার সাথে কথা বলে বোঝা গেল অনূর্ধ্ব-১৭ ও ১৮ দলের ১৩ পেসার নিয়ে প্রথম ধাপে তিনি ৮ দিনের প্রাথমিক একটি ক্যাম্প করছেন। ক্যাম্পটির শেষ এখনই নয়। আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপের ক্যাম্প। এখান থেকে প্রতিভাবান পেসার খুঁজে বের করাই তার মূল লক্ষ্য। যেসব পেসাররা তার চোখে প্রতিভাবান হিসেবে গণ্য হবেন তাদের পরের গন্তব্য অনূর্ধ্ব-১৯, হাই পারফরম্যান্স দল।

চাম্পাকার কাছে জানতে চাওয়া হয়-পেসারদের কোন স্কিলটি নিয়ে এই মুহূর্তে কাজ করছেন? উত্তরে তিনি জানান, ‘আমার প্রথম কাজটি হবে প্রতিভা খুঁজে বের করা।  এই মুহূর্তে আমি ওদের হাতের কাজ (রিস্ট), অ্যাকশন এবং লাইন, লেংথ দেখছি। বাদ বাকি স্কিল যেমন, সিম পজিশন, রিভার্স সুইং, বাউন্সার পরে হবে। কেননা আপনি যদি সঠিক লেংথে বোলিং করতে না পারেন তাহলে আপনার হাত দিয়ে অনেক রান চলে যাবে। এতে করে আপনার অধিনায়ক আপনাকে বল করার সুযোগ দেবে না। ’

পেস বোলিং বিভাগে বাংলাদেশের পশ্চাৎপদতার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। সেই ভাবনা থেকেই তৃণমূলের পেসারদের ভেতর থেকে ভবিষ্যতের পেসার তৈরি করার লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফায় তাকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে।

দেখাই যাক না প্রথম দফায় নিজ দীক্ষায় রুবেল হোসেন ও শফিউল ইসলামকে বের করে আনা এই বোলিং কোচ এই দফায় ক’জন পেসার বের করে আনতে পারেন।

উল্লেখ্য, চাম্পাকা রামানায়েকে প্রথম দফায় একাডেমির কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ২০০৮-২০১০ সাল পর্যন্ত। ৮ বছর পর আবার কোচ হিসেবে কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন সদ্যই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলের দায়িত্ব ছাড়া এই কোচ। তবে এবার তার অ্যাসাইনমেন্ট টাইগার হাই পারফরমেন্স দলের কোচ হিসেবে। প্রথমবারের মতো এবারও বিসিবির সাথে তার চুক্তির মেয়াদ দুই বছর।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ৫ নভেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।