সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে স্পিন ঘূর্ণি দেখিয়ে ৭৮ রানের জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। এ জয়ে দীর্ঘ ১৮ মাস পর ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় স্বাগতিকরা।
প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২২ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন লঙ্কান ওপেনার অভিষ্কা ফার্নান্দো। এরপর দীনেশ চান্দিমালকে এলবিডাব্লিউ করার পর ফিরতি ক্যাচ নিয়ে কামিন্দু মেন্ডিসকেও সাজঘরে পাঠান জর্জ লিন্ডে। প্রোটিয়া স্পিনারদের নৈপূণ্যে এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা। ৩১ রান করে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার পর ১৩ রান করেই সাঝঘরে ফেরেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ৬ রান করে একই পথে হাঁটেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
সপ্তম উইকেটে চামিকা করুণারত্নেকে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়েন চরিথ আসালঙ্কা। কিন্তু তাবরাইজ শামসির দুর্দান্ত বোলিংয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি তারা। চামিকার পর ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৭ রান করা আসলাঙ্কাকেও ফেরান এ পেসার। শেষ দিকে দলের হাল ধরে ২৯ রানের ইনিংস খেলে উল্লেখযোগ্য স্কোর এনে দেন দুশমান্থা চামিরা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২০৩ রান করে শ্রীলঙ্কা। বল হাতে ৩৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন কেশব মহারাজ। ২টি করে উইকেট পান শামসি ও লিন্ডে।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে প্রোটিয়ারা। মাত্র ১৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ওয়ান রাউন্ডে নামা ইয়ানেমান মালানও সাজঘরে ফেরেন ১৮ রান করে। ৪৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে সহায়তা করে বৃষ্টি। কিন্তু তা বেশীক্ষণ স্থায়ী হলো না। বৃষ্টি থামার পরে ২ রান করে হাসারাঙ্গার বলে বোল্ড হন মুল্ডার। ২২ রান করা ক্লাসেনকে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ষষ্ঠ উইকেট শিকার করেন মহিশ থিকসানা।
৫৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা। সপ্তম উইকেটে ৩৬ রানের জুটি গড়লেও তা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি অ্যান্ডিলে ফেহশুকাইয়ো ও লিন্ডে। অ্যান্ডিলের পর লিন্ডেকে শিকার করে এই জুটি ভাঙেন আসালঙ্কা। পরের ওভারে কাগিসো রাবাদার বিদায়ের পর ৩০তম ওভারে মহারাজকে আউট করে শ্রীলঙ্কার জয় নিশ্চিত করেন মহিশ। দলীয় ১২৫ রানে সবগুলো উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।
এ ম্যাচ জিতে ২-১ ব্যবধানে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিতে নেয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
আরইউ