ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দুই বছরের মধ্যে চমেক হাসপাতাল পাচ্ছে দেড়শ শয্যার বার্ন ইউনিট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
দুই বছরের মধ্যে চমেক হাসপাতাল পাচ্ছে দেড়শ শয্যার বার্ন ইউনিট ...

চট্টগ্রাম: আগামি ২ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে যোগ হবে দেড়শ শয্যার বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট। ১০ মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে চায়না কিউয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হচ্ছে।

জানা গেছে, ৬ তলা বার্ন ইউনিটে ১০টি আইসিইউ, শিশুদের জন্য ৫টিসহ মোট ২৫টি এইচডিইউ এবং অত্যাধুনিক দুটি অপারেশন থিয়েটার থাকবে। জরুরি বিভাগের পাশাপাশি থাকবে বহির্বিভাগ।

ভবনের প্রতি ফ্লোরে স্পেস থাকবে ১৬ হাজার বর্গফুট। প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০ মিলিয়ন ইউএস ডলার ব্যয় হবে চীনের।  

চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট স্থাপনের জন্য গোঁয়াছি বাগান এলাকা চূড়ান্ত হওয়ার পর সেখানে থাকা তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা সরাতে সংশ্লিষ্টদের ২০ মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কেউ না গেলে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।

শুক্রবার (৩ মার্চ) বার্ন ইউনিটের স্থান পরিদর্শন করেছেন চায়না কিউয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের একটি দল। সঙ্গে ছিলেন দেশে পোড়া রোগীর চিকিৎসা সম্প্রসারণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. সামন্ত লাল সেন, চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান, চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তার, চমেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ, গণপূর্ত বিভাগের (চট্টগ্রাম-১) নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ, নির্বাহী প্রকৌশলী (ইএম) মইনুল হক, স্থাপত্য অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী স্থপতি সিদ্দিকা নাসরিন সুলতানা, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রাজিব পালিত, ডা. রুমা ভট্টাচার্য সহ সংশ্লিষ্টরা।

এসময় চায়না কিউয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের বিজনেস ম্যানেজার (সাউথ এশিয়া) লিও বো জানান, ‘এখানে একটি বার্ন ইউনিট গড়ে তোলা যাবে। এতে প্রায় ১২০ মিলিয়ন ইউয়ান (২০ মিলিয়ন ডলার) খরচ হবে। ৬ তলা ভবনের নকশা করা হয়েছে। ঢাকায় চুক্তি স্বাক্ষরের পর আমরা কাজ শুরু করতে আগ্রহী। দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদি’।

গণপূর্ত বিভাগের (চট্টগ্রাম–১) নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ বলেন, বার্ন ইউনিটের ৬ তলা ভবনের পাশাপাশি সরঞ্জাম স্থাপনের জন্য একতলা বিশিষ্ট আলাদা আরেকটি ভবন নির্মাণের প্রস্তাবনা রয়েছে। ভবনটিতে অক্সিজেন প্ল্যান্ট, সাব–স্টেশন ও জেনারেটরসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থাপন করা হবে। প্রায় এক একর জায়গার ওপর বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট গড়ে তোলা হবে।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, চট্টগ্রামে একটি বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট হোক, এটা আমার স্বপ্ন। চিকিৎসা সুবিধার অভাবে অধিক দগ্ধ রোগীদের ঢাকায় নিয়ে যেতে হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে অনেক রোগী মারা যায়। চীনা প্রতিনিধিরা দেড়শ শয্যার বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট করে দেবে। আমরা চাই, দ্রুত বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট নির্মাণকাজ শুরু হোক।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৩
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।