ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন ...

চট্টগ্রাম: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএফএম আওরঙ্গজেব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিশেষ সহকারী এটর্নী জেনারেল ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমদ আসিফ।

 

বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক ডীন ও বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর আইন বিভাগের উপদেষ্টা প্রফেসর এবিএম আবু নোমান।  বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এএফএম আওরঙ্গজেব।

 

ডেপুটি রেজিস্ট্রার সালাহউদ্দীন শাহরিয়ার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর আ.ন.ম. ইউসুফ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. হযরত আলী মিঞা,  ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান খালেদ বিন চৌধুরী, ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান ড. অনিন্দ্য কুমার নাথ, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান নাজনীন আক্তার, এমবিএ প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সহযোগী অধ্যাপক সৌমেন চক্রবর্তী, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক রানা করণ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সালাহউদ্দীন চৌধুরী, প্রক্টর ড. জিয়া উদ্দীন, জার্নালিজম ও মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ইমরান চৌধুরী, এম. এ. ইন ইংলিশ প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর এবং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আজিম উদ্দীন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার ইমিতিয়াজ উদ্দিন আহমদ আসিফ বলেন, বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরাধীন এই জাতিকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। কিন্তু দেশিয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১৯২০ সালে ১৭ মার্চ জন্ম নেওয়া এই ক্ষণজন্মা বাঙালি জাতির পিতাকে স্ব-পরিবারে  ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট  কিছু স্বদেশি কুলাংগার নির্মমভাবে হত্যা করে। দীর্ঘদিন সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নামক কালো আইনের মাধ্যমে রহিত ছিল।  পরবর্তীতে জাতির পিতার কন্যার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে ১৯৯৬ সালের ২০ অক্টোবর ধানমণ্ডি থানায় মামলার মাধ্যমে সেটি পুনরায় চালু হয়।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আমি মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে রাষ্ট্রপক্ষ হয়ে বিশেষ সহকারী এটর্নী জেনারেল হিসেবে মামলাটি পরিচালনা করার সুযোগ পাই। আমি দেখেছি, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর পিতাসহ ৭৫ এর ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার পেতে কত ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হয়েছে। আজ জাতির পিতার ১০৩তম জন্মদিনে তাঁর স্বপ্ন সফল করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।  

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. এএফএম আওরঙ্গজেব বলেন, বীরের জাতি হিসেবে পৃথিবীর বুকে আমরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছি। আর এর রূপকার হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে আরো শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। তাহলেই জাতির জনক যে সোনার বাংলাদেশ চেয়েছিলেন সে বাংলাদেশ আমরা তৈরি করতে পারবো।  

সভা শেষে আনন্দমুখর পরিবেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের কেক কাটা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।