ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিএম ডিপোর আগুনে ২৫০ কোটি টাকার রপ্তানি পণ্যের ক্ষতি 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৩
বিএম ডিপোর আগুনে ২৫০ কোটি টাকার রপ্তানি পণ্যের ক্ষতি  ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২০০-২৫০ কোটি টাকার রপ্তানি পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা কাস্টম হাউসের গঠিত তদন্ত কমিটির।  

কমিটির খসড়া প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

শিগগির চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।  

প্রতিবেদনে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ও অক্ষত- এই তিন ভাগে রফতানি পণ্যের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হয়েছে।

 

কমিটির সদস্য বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার বিপ্লব বাংলানিউজকে বলেন, বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে যে রফতানি কার্গোগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমরা সরেজমিন তদন্ত করে একটি খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করেছি। প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকার রফতানি পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।  

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি বাংলানিউজকে বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে যে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাস্টমসের পক্ষ থেকে একটি কমিটি করা হয়েছিল। কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের তালিকা করে অর্থমূল্য নির্ধারণ করেছে। তবে এখনো প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করা হয়নি।  

তিনি জানান, এ তদন্ত প্রতিবেদনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিকারকরা ইন্স্যুরেন্সসহ বিভিন্ন খাতে আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন। অবশ্য ডিপো কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের সহায়তা করেছে।  

সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে গত ৪ জুন রাতে। এ ঘটনায় ৫১ জনের মৃত্যুর খবর প্রশাসন নিশ্চিত করে, যাদের মধ্যে আটজনের পরিচয় মেলেনি। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১০৭ জন। হতাহতদের অধিকাংশই ফায়ার সার্ভিসকর্মী, ডিপো শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের চালক, হেলপার ও পুলিশ সদস্য।

বিএম কনটেইনার ডিপোর চেয়ারম্যান বার্ট প্রঙ্ক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। পরিচালক হিসেবে আছেন স্মার্ট জিনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান। এই ডিপোর ৩৫ লাখ শেয়ারের মধ্যে ১ লাখ ৩৮ হাজার শেয়ার রয়েছে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের নামে। তাঁর ভাই পরিচালক মুজিবুর রহমানের নামে আছে ১৫ হাজার শেয়ার। আর স্মার্ট জিনসের নামে ১৮ লাখ ৩৬ হাজার শেয়ার। নেদারল্যান্ডসের প্রতিষ্ঠান ২০১৭ সালে এই ১৮ লাখ ৩৬ হাজার শেয়ার স্মার্ট জিনসের কাছে হস্তান্তর করে। নেদারল্যান্ডসের মেসার্স প্রঙ্ক পার্টিসিপেটের নামে আছে ১৫ লাখ ১১ হাজার শেয়ার।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।