ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ক্যান্সার ইউনিটের ৩৬ শতাংশ কাজ শেষ

মিজানুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৬ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২৩
চট্টগ্রামে ক্যান্সার ইউনিটের ৩৬ শতাংশ কাজ শেষ ...

চট্টগ্রাম: প্রতিবছর আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ক্যান্সারের রোগী। রোগী বাড়লেও সে হারে বাড়েনি চিকিৎসার সুযোগ।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ক্যান্সার ওয়ার্ড থাকলেও চিকিৎসা ব্যবস্থার তেমন বিস্তার ঘটেনি।  

তাই চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ একটি ক্যান্সার ইউনিট গঠন করা ছিল সময়ের দাবী।

সময়ের পরিক্রমায় এগিয়ে চলছে এ ইউনিটের নির্মাণ কাজ। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৩৬ শতাংশ।

জানা গেছে, চট্টগ্রামসহ ৮টি বিভাগীয় শহরের (ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও খুলনা) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একশ শয্যার একটি করে ক্যান্সার ইউনিট স্থাপনে এ প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৯ সালে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। চমেক হাসপাতালের প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৮৮ কোটি ২৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের সময়সীমা হলেও মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।  

ভবনটির দ্বিতীয় থেকে সপ্তম তলা জুড়ে থাকবে ১৮০ শয্যাবিশিষ্ট ক্যান্সার ইউনিট। এছাড়া অষ্টম থেকে এগারো তলায় ১৬৫ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস এবং ১২ তলা থেকে ১৫ তলা পর্যন্ত থাকবে ১১৫ শয্যার কার্ডিয়াক ওয়ার্ড। থাকবে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা। ভবনটি নির্মাণে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেড এবং ডেল্টা ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড কনসোর্টিয়াম লিমিটেড।

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী রাহুল গুহ বাংলানিউজকে জানান, বছরের শুরুতে আর্থিক সংকট ছিল। এখন তা কেটে গেছে। ইতিমধ্যে ৩৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু নির্মাণ সামগ্রীসহ সবকিছুর দাম বাড়ায় প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।
 
এ প্রসঙ্গে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বাংলানিউজকে বলেন, ক্যান্সার একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। চমেক হাসপাতালে ক্যান্সার ওয়ার্ড রয়েছে তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। প্রচুর রোগী ভর্তি হওয়ায় সংকীর্ণ স্থানে চিকিৎসা দেওয়া অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার ইউনিট হলে সেবার পরিধি বাড়ানো সম্ভব হবে। বেশি রোগীকে সেবা দেওয়া যাবে। আশা করছি ২০২৪ সালের মধ্যে অন্তত ক্যান্সার ইউনিট চালু করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২৩ 
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।