ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি

চট্টগ্রাম: সড়ক পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, গ্রেফতার শ্রমিক নেতা মো. সেলিম ও আলমগীরকে অবিলম্বে মুক্তি প্রদানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম পণ্যবাহী সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তন এ দাবি জানান শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।

তারা বলেন, সড়ক পরিবহন সেক্টরে আমরা আইনানুগভাবে ট্রেড ইউনিয়ন করি। প্রচলিত শ্রম আইন ও বিধি মোতাবেক আমাদের সংগঠনগুলো পরিচালিত হয়।

সড়ক পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধ, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয়ভাবে প্রতিনিধিত্বকারী সড়ক পরিবহন মালিক সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন এবং  প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মালিক শ্রমিক সংগঠনের নির্দেশিকা অনুযায়ী নিদিষ্ট ষ্ট্যান্ডে, লোডিং আনলোডিং পয়েন্টে শ্রমিক কল্যাণ বা সার্ভিস চার্জ আদায়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ত্রিপাক্ষিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারাদেশে মালিক শ্রমিকেরপক্ষ থেকে শ্রমিক কল্যাণ/সার্ভিস চার্জ আদায় করার ক্ষেত্রে কোন বাধা না থাকলেও বৃহত্তর চট্টগ্রামে কথিত বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় প্রশাসন কর্তৃক বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান করা হচ্ছে। অথচ কথিত বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশন নামের উক্ত সংগঠনটি বিভিন্ন জায়গায় সার্ভিস চার্জ আদায় করছে। কথিত বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশন সংগঠনটি একটি ফেডারেশন। ফেডারেশন কোন শ্রমিকের কাছ থেকে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের চাঁদা আদায়ের আইনগত অধিকার রাখে না। ফেডারেশন বেসিক ইউনিয়নগুলোকে নিয়ন্ত্রণ এবং তদারক করে মাত্র। কিন্তু কথিত বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশন সংগঠনটির চট্টগ্রামে কোন বেসিক ইউনিয়ন না থাকা সত্বেও জায়গায় জায়গায় মোটা অংকের অবৈধচাঁদা আদায় করে থাকে।

গত ৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী কমিটির সদস্য মো. সেলিম ও কর্মী আলমগীরকে ডিবি পুলিশ বন্দর থানাধীন নিউমুরিং এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে শ্রমিক কল্যাণ/সার্ভিস চার্জ আদায়ের সাজানো মামলায় বন্দর থানা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে। আমরা আশঙ্কা করছি এই গ্রেফতার অভিযান আরো প্রসারিত হতে পারে।

শ্রমিক নেতারা বলেন, প্রশাসন, মালিক, শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রামের পণ্য পরিবহন সেক্টরে সার্ভিস চার্জ আদায়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনিক বাধার কারণে সার্ভিস চার্জ আদায়সহ ১০ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনের এক পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সভাকক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আমাদের দাবিগুলো যৌক্তিকতা স্বীকার করেন এবং নির্দিষ্ট ষ্ট্যান্ডে, লোডিং আনলোডিং পয়েন্টে সার্ভিস চার্জ আদায় এবং যত্রতত্র সার্ভিস চার্জ বা শ্রমিক কল্যাণ আদায় না করার নির্দেশ প্রদান করেছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩ 
বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।