ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তৌহিদুল আনোয়ার হাইস্কুলের পৌষমেলা ১৫-১৮ জানুয়ারি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৪
তৌহিদুল আনোয়ার হাইস্কুলের পৌষমেলা ১৫-১৮ জানুয়ারি ...

চট্টগ্রাম: ফটিকছড়ির সুয়াবিল ইউনিয়নের বারমাসিয়া গ্রামে আহমেদ শামসুল আনোয়ার ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত তৌহিদুল আনোয়ার হাইস্কুলে সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পৌষ মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

এবারের পৌষ মেলার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- অবহেলিত দারিদ্রপীড়িত জনগণের মাঝে শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ সৃষ্টি করা।

ছাত্র-যুব তথা গ্রামবাসীর সামনে বাঙালির হাজার বছরের চিরায়ত গ্রামীণ সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য উপস্থাপন করা। সাম্প্রদায়িকতা, বাল্যবিবাহ, মাদকাসক্তি, মোবাইল আসক্তি, যৌতুকপ্রথা, নারী নির্যাতন সহ নানাবিধ সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে সমাজে সচেতনতা গড়ে তোলা।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন তৌহিদুল আনোয়ার হাইস্কুল পরিচালনা কমিটি ও পৌষমেলা-১৪৩০ আয়োজক কমিটির সভাপতি এবং আহমেদ শামসুল আনোয়ার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সুজাউদ্দীন জাফর।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পৌষ মেলা শুরু হবে ১৫ জানুয়ারি সকাল দশটায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেলা শুরু হয়ে চলবে ১৮ জানুয়ারি রাত দশটা পর্যন্ত। ১৬ জানুয়ারি সকাল ১১টায় থাকবে শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল র‍্যালি ও প্রচারণা, ১৭ জানুয়ারি সকল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলবে ফ্রী মেডিক্যাল ক্যাম্প ও ১৮ জানুয়ারি দুপুর ১টায় শুরু হবে বলীখেলা। দেশের শ্রেষ্ঠ বলী খেলোয়াড়রা খেলায় অংশ নিবেন। বলীখেলা পরিচালিত হবে জব্বারের বলীখেলার আয়োজকদের তত্ত্বাবধানে। ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা থেকে চলবে চট্টগ্রামের কবিয়ালদের অংশগ্রহণে কবিগান।

সুজাউদ্দীন জাফর বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড না থাকলে শিক্ষার্থীরা যেমন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয় না, তেমনি দেশ জাতি ও সুনাগরিকতা সম্পর্কেও সঠিক ধারণা গড়ে ওঠে না। তাতে দেশে শিক্ষার হার বাড়লেও প্রগতি নিশ্চিত হয় না। শামসুল আনোয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি এএসএম কামাল উদ্দিনের পরামর্শ ও পৃষ্ঠপোষকতায় ২০২৩ সালের ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি তৌহিদুল আনোয়ার হাইস্কুলে প্রথম পৌষ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।  

তৌহিদুল আনোয়ার হাইস্কুল সামগ্রিক শিক্ষা দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে পরিচালিত একটি আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০২০ সাল থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। চা বাগানের আদিবাসী শ্রমিকের সন্তানদের মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগের জন্য বিনামূল্যে বাইসাইকেল প্রদান প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পে সমাজের হিতবাদী শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অনুদান নিয়ে সাইকেল ক্রয় ও সংগ্রহ করা হয়। এ পর্যন্ত স্কুলের পক্ষ থেকে ৪৪ জন শিক্ষার্থীকে বাইসাইকেল প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৮ জন ছাত্র এবং ৬ জন ছাত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৪
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।