ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অধ্যাপক খালেদ ছিলেন চট্টগ্রামের অভিভাবক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
অধ্যাপক খালেদ ছিলেন চট্টগ্রামের অভিভাবক

চট্টগ্রাম: অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ ছিলেন রাজনীতিবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও  সাংবাদিক। তিনি সাধারণ মানুষ হয়েও মানবসমাজের কল্যাণে অসাধারণ কাজ করে গেছেন।

তাঁর  মেধা, সততা ও কর্মনিষ্ঠা তাঁকে অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। তিনি সংবিধান রচনার অন্যতম সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা হিসেবে রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে তিনি চট্টগ্রামের অভিভাবকে পরিণত  হন।  

চট্টগ্রাম একাডেমির সহযোগিতায় শৈলী প্রকাশন আয়োজিত দৈনিক আজাদীর সাবেক সম্পাদক, সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদকে নিয়ে ‘সাংবাদিকতা ও মুক্তিযুদ্ধে অধ্যাপক খালেদ’শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা নাসিরুদ্দিন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক।  সূচনা বক্তব্য দেন শৈলী প্রকাশনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক রাশেদ রউফ।  সঞ্চালনা করেন বাচিকশিল্পী আয়েশা হক শিমু।  

এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের কাছে আমি অসম্ভব ঋণী। আমার ছাত্র রাজনীতিতে তিনি অনুপ্রাণিত করেছেন।

তিনি চিরন্তন চট্টগ্রামে অধ্যাপক খালেদ, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক ও দৈনিক আজাদীকে নিয়ে জেলা পরিষদ ভবনে আলাদা আলাদা কর্নার স্থাপন, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের কবর পাকাকরণ ও তাঁর নামে সড়ক নামকরণের ঘোষণা দেন।

বিকেল সাড়ে ৫টায় জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়বের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় ‘রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধে অধ্যাপক খালেদ’শীর্ষক আলোচনা। এ পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক মুহাম্মদ শামসুল হক। সূচনা বক্তব্য দেন ব্যাংকার মোহাম্মদ জোবায়ের।

ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ ছিলেন অবিসংবাদিত রাজনীতিবিদ। তিনি গণপরিষদ নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে আলোচিত ইতিহাস সৃষ্টি করেন। তিনি সংবাদপত্র জগতেও নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তিনি কথায়-কাজে ছিলেন মহান পুরুষ।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ‘সাংবাদিকতায় অধ্যাপক খালেদ’শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন কবি আবুল মোমেন। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় আলোচক ছিলেন কবি ওমর কায়সার। সূচনা বক্তব্য দেন লেখক নিজামুল ইসলাম সরফী।

সন্ধ্যা ৭টায় ‘অধ্যাপক খালেদ জন্মশতবার্ষিক স্মারকগ্রন্থ’-এর পাঠ উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক। তিনি বলেন, প্রফেসর খালেদ ছিলেন জীবনযাপনে সাধারণ মানুষ কিন্তু কাজ করেছেন অসাধারণ। তিনি কখনো কথার বরখেলাপ করতেন না।  তিনি যাকে কথা দিতেন সেই কথা রক্ষা করতেন।

সভাপতিত্ব করেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর রীতা দত্ত। আলোচনায় অংশ নেন কবি অভীক ওসমান। ধন্যবাদ বক্তব্য দেন সাপ্তাহিক স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির। এ সময় মঞ্চে ছিলেন চট্টগ্রাম একাডেমির পরিচালক নেছার আহমদ, দীপক বড়ুয়া, বিপুল  বড়ুয়া, জাহাঙ্গীর মিঞা, এসএম আবদুল আজিজ, শারুদ নিজাম, রেজাউল করিম স্বপন, সুলতানা  নুরজাহান রোজী, এসএম মোখলেসুর রহমান, বাসুদেব খাস্তগীর, ফারজানা রহমান শিমু। শুরুতে বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে উঠোন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিশুশিল্পীরা। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ স্মারকগ্রন্থ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।