ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে রণেশ দাশগুপ্ত স্মারক সেমিনার

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪
চট্টগ্রামে রণেশ দাশগুপ্ত স্মারক সেমিনার

চট্টগ্রাম: ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন ও সংস্কৃতি আজ হুমকির মুখে। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও পৃষ্ঠপােষকতার অভাব, নিপীড়ন, সারা দেশে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ও আগ্রাসন, রাষ্ট্রের উদাসীন্য ইত্যাদি কারণে এ সংকট বাড়ছে।

 

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে উদীচী চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির আয়োজনে রণেশ দাশগুপ্ত স্মারক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।  

উদীচী চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির আহবায়ক মোল্লা হাবিবুর রাছুল মামুনের সভাপতিত্বে এবং  উদীচীর বিভাগীয় সদস্যসচিব জহির উদ্দিন বাবরের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদ।

 

মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন, সংগঠক শরৎ জ্যেতি চাকমা, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের চলচ্চিত্র ও চারুকলা বিভাগের সম্পাদক কবি রহমান মুফিজ, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য জহিরুল ইসলাম স্বপন, উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সভাপতি প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক জসিম চৌধুরী সবুজ, উদীচী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি কবি ইউসুফ মুহম্মদ,উদীচী কুমিল্লা জেলা সংসদের সভাপতি শেখ ফরিদ আহমদ, ফেনী উদীচী জেলা সংসদের সভাপতি মহিবুল হক চৌধুরী রাসেল, উদীচী বান্দরবান জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, উদীচী কক্সবাজার জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছোটন দাশ,খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুল আলম, ছাত্রনেতা সুপ্রিয় তঞ্চঙ্গা প্রমুখ। সেমিনারের শুরুতে জাতীয় সংগীত ও সংগঠন সংগীত পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীকর্মীরা।

ড. আলাউদ্দিন বলেন, সমতলের বর্মণ, কোচ ইত্যাদি জাতি তাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছে, পাহাড়ের খ্যাং জাতির ভাষা হারাতে বসেছে। চাঁদপুরের ত্রিপুরা জনগােষ্ঠীর বর্তমান প্রজন্মের লােকেরা নিজের ভাষায় আর কথা বলতে পারে না। বহু জাতি তাদের ঐতিহ্যবাহী পােশাক হারিয়ে ফেলেছে।  

কবি রহমান মুফিজ বলেন, কথা ছিল এদেশে একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই লক্ষ্যে একটি মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এ মুক্তিযুদ্ধে সব শ্রেণির, সব ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন।  

প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক জসিম চৌধুরী সবুজ বলেন, শত শত বছর ধরে বঞ্চনার কারণে পিছিয়ে পড়া জনগােষ্ঠীর শিক্ষা উন্নয়নের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে-এসব কোনো কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি। পার্বত্য জেলাগুলোর শত শত গ্রামে এখনাে কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। অথচ সরকার বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, সবার জন্য শিক্ষা ইত্যাদি কর্মসূচি ঘােষণা করেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুরা এ কর্মসূচির বাইরে থেকে যাচ্ছে। সংবিধান ও আইনের চোখে সবাই সমান হলেও রাষ্ট্রের চোখে সবাই সমান নয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪ 
এআর/পিডি/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।