ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আউটার স্টেডিয়াম: সংস্কার শেষে নির্দিষ্ট সূচিতেই চলবে খেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪
আউটার স্টেডিয়াম: সংস্কার শেষে নির্দিষ্ট সূচিতেই চলবে খেলা ...

চট্টগ্রাম: একপাশে মাদক, অন্যপাশে অবৈধ দখলদারদের ব্যবসা। খেলাধুলার বদলে চলতো মাসব্যাপী মেলা।

এসব কিছু গুঁড়িয়ে দিয়ে নগরের আউটার স্টেডিয়ামে পুনরায় খেলার উপযোগী মাঠ তৈরি করছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শিশু-কিশোর ও যুবকেরা ফিরে পাচ্ছে তাদের খেলার মাঠ।
বৃদ্ধরা পাবেন অবসরে হাঁটার সময়।  

বেশ কয়েকদিন ধরে সংস্কার কাজ চলছে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি আউটার স্টেডিয়ামে। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের বাইরে এই অংশটি একসময় শিশু কিশোরদের ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল আর হ্যান্ডবল খেলায় মুখর থাকলেও গেল কয়েকবছরে মেলা আর অনুষ্ঠানের দখলেই ছিল। অথচ এই মাঠে খেলাধুলা করেই জাতীয় ক্রিকেট দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদিন, তামিম ইকবাল, আফতাব আহমেদের মতো তারকারা। দখল নিয়ে বেশ কয়েকবার গণমাধ্যমের শিরোনামও হয়েছিল আউটার স্টেডিয়াম।

আউটার স্টেডিয়ামে খেলাধুলা ফেরাতে এক কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা। সেই প্রকল্পের অংশ হিসেবে সংস্কার কাজ চলছে আউটার স্টেডিয়ামের। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ‘এখানে ৮ হাজার বর্গমিটার এলাকা নিয়ে একটি স্টেডিয়াম হবে। আলাদাভাবে ভলিবল আর হ্যান্ডবলের কোর্টও করা হবে। তাছাড়া ক্রিকেট অনুশীলনের জন্য চারটি নেটও তৈরি করা হবে। আউটার স্টেডিয়ামের জায়গা বৃদ্ধির জন্য এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইটটি স্থানান্তরিত করা হবে। মাঠের দুপাশেই ২০০ সিটের একটি গ্যালারী তৈরি করা হবে। তাছাড়া আধুনিক সুযোগসুবিধা সম্বলিত একটি শৌচাগারও তৈরি করা হবে’।  

চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে আউটার স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ সম্পন্ন হবে দুই ধাপে। ইতিমধ্যেই প্রথম ধাপের কাজ শুরু করেছে টেন্ডারের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আউটার স্টেডিয়াম সংস্কার হচ্ছে- এটা সুখবর। এই মাঠ সংস্কার হলে নানা খেলাধুলা, অনুশীলন আর টুর্নামেন্ট চলবে। এই মাঠ যে যেভাবে পেরেছে, সেভাবে ব্যবহার করেছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ‘সংস্কারের পর এই মাঠে খেলতে কোনো টাকা দিতে হবে না। তবে শৃঙ্খলার জন্য একটি সূচি অনুসরণ করা হবে। মাঠের চারদিকে মানুষের হাঁটার জন্য গাছের চারা রোপণসহ একটি ওয়াকওয়ে তৈরি করা হবে’।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪ 
বিই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।