ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এস আলমের চিনি সরবরাহ শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৪
এস আলমের চিনি সরবরাহ শুরু প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মধ্যেও ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় অক্ষত থাকা পরিশোধিত চিনির মজুদ থেকে বাজারে সরবরাহ শুরু করেছে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।  

শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক।

 

তিনি জানান, আমাদের একটি অপরিশোধিত চিনির (র সুগার) গুদামের চিনি পুড়ে গেছে। পরিশোধিত চিনির গুদাম ও মেশিনারিজ অক্ষত রয়েছে।

গতকাল বেলা আড়াইটা থেকে বাজারে চিনি সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছে। আশাকরছি শনিবার থেকে মূল কারখানায় আমরা চিনি পরিশোধনের কাজ শুরু করতে পারবো।  

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। দেশি ও আন্তর্জাতিক সার্ভেয়াররা কাজ করছেন। এখন আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে এ অগ্নিদুর্যোগের প্রভাব যেন বাজারে না পড়ে।  

সূত্র জানায়, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে চিনির কাঁচামাল এনে পরিশোধন করা হয় দুইটি প্লান্টে। এর মধ্যে প্লান্ট ১ এর উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ৯০০ টন, প্লান্ট ২ এর উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ টন। থাইল্যান্ড ও ফ্রান্সের প্রযুক্তি ও কারিগরি সহায়তায় এ কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে।  সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল চারটার দিকে আকস্মিকভাবে কর্ণফুলী থানাধীন নদীর পাড়ের এ কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। শুক্রবার সকালে আগুন নেভার খবর পাওয়া যায়। অগ্নিকাণ্ডে অক্ষত পরিশোধিত চিনির মজুদ থেকে বাজারে সরবরাহের কাজটি দ্রুত সম্ভব হলেও উৎপাদন শুরুটা চ্যালেঞ্জিং। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে-ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে কারখানার ওপর বড় ধকল গেছে। অনেক পাম্প নষ্ট হয়েছে।    ওয়াটার ট্রিটমেন্ট, বয়লারে পানি স্টক করা, টারবাইন, প্রসেস এবং ফাইনালি চিনি পরিশোধন। কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ আন্তরিকতায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে উৎপাদন শুরু করতে বদ্ধপরিকর।  

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শোয়েব মুন্সী বাংলানিউজকে রাত ৯টায় জানান, চিনিকলটি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এখানো ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট কারখানায় আছে।  

তিনি জানান, ভয়াবহ এ আগুন নেভাতে সেনা, নৌ, বিমানবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটসহ ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ২০টি ইউনিট দায়িত্ব পালন করেছে। ফেনী, কক্সবাজার, চকরিয়া, বান্দরবান, রাউজানসহ নগর ও আশপাশের ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এ অগ্নিনির্বাপণে অংশ নিয়েছে।  

বাংলাদেশ সময় : ২১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।