ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাবেক এমপি নদভী ও তাঁর পরিবারের অপকর্মের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৪
সাবেক এমপি নদভী ও তাঁর পরিবারের অপকর্মের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন 

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা নদভী ও তাঁর ভাতিজা মাদার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ ন ম সেলিমসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নানা অপকর্ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের বিচার দাবি করে সাতকানিয়ায় মানববন্ধন করা হয়েছে।  

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার মাদার্শা ও এওচিয়া ইউনিয়ন এবং সাতকানিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

 

মানববন্ধনে দেওদীঘি বাজারকে মাদকের ট্রানজিট পয়েন্টে রূপান্তর, সরকারি গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণে অনিয়ম, দেওদীঘি বাজারে নিজের জবাইকৃত গরু ছাড়া অন্যের মাংস বিক্রি করতে বাধা, ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তির ইটভাটা দখল, হাসপাতাল নির্মাণের নামে কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা দখল, বনে অবৈধভাবে গাছ কাটা, মাদার্শা স্লুইচ গেইট সংলগ্ন সেচ প্রকল্প দখল সহ সাবেক সাংসদ আবু রেজা নদভী ও তার ভাতিজা আ ন ম সেলিম সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নানা অপকর্মের বিচার ও ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত চেয়ারম্যান সেলিমের অপসারণের দাবি জানানো হয়।  

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ফিরোজ কামাল বলেন, আমি ফরওয়ার্ড ইটের ব্যবসা করি।

সে সুবাধে চেয়ারম্যান সেলিমের কাছ থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে ব্যবসা বাবদ ১৬ লাখ টাকা পাওনা ছিলাম। অনেক কষ্টে ৮ লাখ টাকা আদায় করেছি। বাকি টাকা চাওয়ায় গিয়ে ইয়াবা, ডাকাতি, হত্যা, ধর্ষণ, চুরিকাঘাতের মামলা দিয়েছে । শুধু তাই নয়, সারা জীবন যে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এলাকায় টিকে রয়েছি, সেই জামায়াত-শিবিরের ভাংচুর মামলাসহ ৮টি মামলার আসামি হয়েছি। বর্তমানে ৬টি মামলায় খালাস পেয়েছি। আরও ২টি মামলা চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে গেলেও এমপির অজুহাতে একটিকে  মামলাও থানা গ্রহণ করেনি। সারা বছর অসহায়ের মতো অনেক জায়গায় ঘুরেও কোনো প্রতিকার পায়নি।  

আরেক ভুক্তভোগী ও বালু ব্যবসায়ী মো. এরফান বলেন, মেম্বার নুরু, পলাশ, রফিক, তরিক ও চেয়ারম্যান সেলিম মিলে আমার একটি স্কেভেটর পুড়িয়ে দেয় এবং আমার মালিকানাধীন একটি ট্রাকে অবৈধ গাছ তুলে দিয়ে পুলিশের ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা আদায় করে।  

ভুক্তভোগী হারুনুর রশিদ বলেন, নলকুপ বসানোর কাজ করতে গিয়ে সাবেক এমপি নদভী ও তাঁর ভাতিজা চেয়ারম্যান সেলিমের কাছ থেকে ১৮ লাখের অধিক টাকা পাওনা রয়েছি। টাকা চাইলে মামলা দেওয়ার ভয় দেখানো হত।  

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সহায়তা কামনা করেন।  

সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সাতকানিয়া উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি মো. রিদুয়ানুল হক, যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান মুরাদ, কামাল উদ্দীন, মো. নাছির উদ্দীন, মাদার্শা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য সামশুল আলম ও মফিজ উদ্দীন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৪
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।