চট্টগ্রাম: তিন দিনব্যাপী চতুর্থ জাতীয় গণসঙ্গীত উৎসবের পর্দা নামলো রোববার (২৮ এপ্রিল)।
বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সারাদেশের ৩২টি দল ও ৬০০ শিল্পীর অংশগ্রহণে এবারের উৎসব ছিল প্রাণবন্ত।
সমাপনী অধিবেশনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি এবং উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক, লেখক ও গবেষক গোলাম কুদ্দুছ বলেন, জাতীয় গণসঙ্গীত উৎসব আগের তিনবার ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন আমাদের প্রয়োজন সাংস্কৃতিক জাগরণ। এতে অন্যতম প্রাণশক্তি হবে গণসঙ্গীত।
সমাপনী অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন চতুর্থ জাতীয় গণসঙ্গীত উৎসব উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও উৎসব উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মানজার চৌধুরী সুইট, উৎসব উদযাপন কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক শিল্পী শ্রেয়সী রায়, সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ফারাহ্ পলাশ।
রোববার বিকেলের অধিবেশনে দলীয় সঙ্গীত পর্বে গারো গান পরিবেশন করে নেত্রকোনার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কালচারাল একাডেমি, বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত গান পরিবেশন করে চাঁদপুরের দল সপ্তসুর, মুকুন্দ দাসের গান পরিবেশন করে মুন্সীগঞ্জের দল অন্বেষণ, মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশন করে ঢাকার দল স্বভূমি লেখক-শিল্পী কেন্দ্র, কাজী নজরুল ইসলামের সাম্যের গান পরিবেশন করে ঢাকার দল ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেশের গান পরিবেশন করে চট্টগ্রামের জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভাষায় গণমানুষের গান পরিবেশন করে চট্টগ্রামের স্বরলিপি সাংস্কৃতিক ফোরাম এবং অশোক সেনগুপ্তের গান পরিবেশন করে চট্টগ্রামের আওয়ামী শিল্পীগোষ্ঠী। এছাড়া প্রাপণ একাডেমির শিশু কিশোরদের যুদ্ধ বিরোধী নৃত্য দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়।
এর আগে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে উৎসবের উদ্বোধন হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
পিডি/টিসি