ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আজ স্বজনদের কাছে ফিরছেন এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০২ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
আজ স্বজনদের কাছে ফিরছেন এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা এমভি আব্দুল্লাহ। সোমবার রাতের ছবিটি সংগৃহীত

চট্টগ্রাম: সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক মঙ্গলবার (১৪ মে) স্বজনদের কাছে ফিরবেন। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় জাহাজটি কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে।

বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে জানান, কুতুবদিয়ায় বহির্নোঙরে নোঙর করা বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক  'এমভি জাহান মণি ৩' নামের লাইটার জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ জেটিতে আসছেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অকুতোভয় নাবিকদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

জাহাজটির মালিক কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানিয়েছেন, জাহাজটি গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে। নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন।

মঙ্গলবার জাহাজটিতে নতুন ২৩ জন নাবিক যোগদান করে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের দায়িত্ব বুঝে নেন।

মিজানুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, কুতুবদিয়া নোঙর করার কারণ, বেশি ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) জাহাজ বন্দর জেটিতে ভেড়ানোর সুযোগ নেই। জাহাজটিতে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর রয়েছে। কুতুবদিয়ায় প্রথমে কিছু চুনাপাথর লাইটার জাহাজে খালাস করা হবে। এরপর পতেঙ্গার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে বন্দর জলসীমায় আনা হবে। সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে।
 

এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের মুক্ত ২৩ নাবিক
জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার মো. আতিক উল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এএসএম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ, এবি পদের মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসাইন, জয় মাহমুদ, ওএস পদের মো. নাজমুল হক, অয়েলার পদের আইনুল হক, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, মো. আলী হোসেন, ফায়ারম্যান মোশাররফ হোসেন শাকিল, চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম, জিএস পদের মোহাম্মদ নুর উদ্দিন ও ফিটার মোহাম্মদ সালেহ আহমদ।

সূত্র জানায়, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করেছিল। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি জিম্মি করেছিল সশস্ত্র জলদস্যুরা। ১৪ এপ্রিল ভোররাতে জাহাজটি জলদস্যুমুক্ত হয়। এ সময় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজটি থেকে বোটে নেমে যায়। পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় এমভি আব্দুল্লাহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার হয়। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তখন জাহাজের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া, ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়, যাতে জলদস্যুরা ফের হামলা করলে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়।

গত ২২ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছিল। কয়লা খালাস শেষে ২৭ এপ্রিল স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নতুন ট্রিপের পণ্য লোড করতে ইউএইর মিনা সাকার (Mina Saqr) বন্দরে যায়। সেখান থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এমভি আব্দুল্লাহ।

বাংলাদেশ সময়: ১০০১ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।