ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাস-পিকআপ সংঘর্ষে প্রাণে বাঁচা জালালের কী হবে!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
বাস-পিকআপ সংঘর্ষে প্রাণে বাঁচা জালালের কী হবে! ...

চট্টগ্রাম: দুই পায়ে সাদা ব্যান্ডেজ। অসহায় দুইটি ছল ছল চোখ।

যে চোখে একসময় দেখেছিল সুখের স্বপ্ন, তা এখন ফিকে, ঝাপসা। সেই চোখে এখন ব্যথার কষ্ট ছাপিয়ে যাচ্ছে অর্থকষ্টে।
চোখ বন্ধ করলেই রাফি-রাইসা নামের দুই সন্তানসহ পরিবার নিয়ে শঙ্কা।  

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) পঞ্চম তলার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডই এখন জালালের ঠিকানা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশে গত ২৪ অক্টোবর যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন তিনি। তার পাশে বসা ছিলেন পিকআপ ভ্যানের চালক, দুর্ঘটনা যাকে পাঠিয়ে দিয়েছে না ফেরার দেশে। এখনো সেদিনের ঘটনাটি দুঃস্বপ্নের মতো মনে হয় জালালের।  

জালালের স্ত্রী রুমি আকতার বাংলানিউজকে জানান, জালাল পিকআপ ভ্যানে পণ্য ডেলিভারির কাজ করতেন। দুর্ঘটনায় তার দুইটা পা ভেঙে গেছে। দাঁতের মাড়ি মারাত্মকভাবে ফেটে গেছে। আল্লাহর রহমতে প্রাণে বেঁচেছে। কিন্তু অভাবের সংসারে চিকিৎসার খরচ জোগাতে পারছি না আমরা। এ পর্যন্ত দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে চিকিৎসার পেছনে। চিকিৎসকেরা বলেছেন অপারেশন করাতে হবে। এর জন্য লাগবে ৩-৪ লাখ টাকা। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাস মালিক চিকিৎসা খরচ দিলে আমাদের উপকার হতো।  

তিনি বলেন, জালালের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে।  বর্তমানে নগরের কদমতলী রৌশন মসজিদ লেইন আহমদ হোসেন কন্ট্রাকটরের বাড়িতে বসবাস করছি। আমাদের সংসারে ৫ বছরের ছেলে আছে নাম রাফি, ৭ মাসের মেয়ের নাম রাইসা। আমি সন্তানদের ভরণপোষণ, স্বামীর চিকিৎসা খরচের বোঝা নিয়ে অসহায়। অসহায় জালালও। পঙ্গুত্ববরণ, শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক কষ্টে সে আমাকে বলেছে, ‘বিষ এনে দাও খেয়ে মরে যাই। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।