চট্টগ্রাম: নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্ন বিভাগকে আরও কার্যকর ও সচেষ্ট হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
রোববার (২৫ মে) টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে পরিচ্ছন্ন বিভাগের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, পরিচ্ছন্নতা হচ্ছে আমাদের মানুষের প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটমেন্ট। এটি আমাদের প্রাইম দায়িত্ব।
অভিযোগ রয়েছে অনেক পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মী দায়িত্বে ফাঁকি দিচ্ছেন। সই করে চলে যাচ্ছেন, কিন্তু কাজ করছেন না। এই ধরনের কাজে যারাই জড়িত থাকবে, সেই ওয়ার্ডের সুপারভাইজারদের আমি দায়ী করব। সবাইকে কাজে লাগিয়ে শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
নগরের নালা ও খালগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। কোথাও ম্যানহোলের ঢাকনা নেই, কোথাও স্ল্যাব মিসিং—এসব সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিক, সিডিএ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা, নেভি ও সেনাবাহিনীসহ সব সংস্থা একযোগে কাজ করছে।
পাহাড় কাটা ও ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস প্রসঙ্গে মেয়র জানান, আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। বর্ষার আগে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হবে।
নগর ব্যবস্থাপনার অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে মেয়র উল্লেখ করেন ম্যানহোলের ঢাকনা চুরি এবং নালায় পলিথিন ফেলা। তিনি বলেন, শহরকে নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন রাখতে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। এটা আমাদের শহর, আমাদের দায়িত্ব। এই যাত্রায় সব নাগরিককে পাশে চাই। বর্ষাকাল আসন্ন হওয়ায় এখন খাল সংস্কার নয়, খাল ও ড্রেন পরিষ্কারকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি প্রমুখ।
দুপুরে আন্দরকিল্লা মোড়ে নির্মাণাধীন নগর ভবনের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
মেয়র বলেন, নগর ভবন নির্মাণের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে। এই ভবন শুধু একটি দপ্তর নয়, এটি হবে নগরবাসীর প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দু। সময়মতো এবং গুণগত মান নিশ্চিত করে কাজ শেষ করতে হবে। এ কাজে কোনো প্রকার গাফিলতি সহ্য করা হবে না।
নতুন নগর ভবন নির্মিত হলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সব বিভাগ ও শাখাকে এক ছাদের নিচে এনে নাগরিক সেবার মান ও গতি বহুগুণে বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন মেয়র।
পরিদর্শনকালে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম এবং উপসহকারী প্রকৌশলী তানজিম ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
এআর/পিডি/টিসি