চট্টগ্রাম: এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাট ডাউন’ কর্মসূচির কারণে শনি ও রোববার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কাজ হয়নি। এতে বিল অব এন্ট্রি, বিল অব এক্সপোর্ট, শুল্কায়ন, শুল্ক পরিশোধ, কনটেইনার ডেলিভারিসহ সব ধরনের কাজই বন্ধ ছিল।
সূত্র জানায়, রোববার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় বন্দরের বিভিন্ন গেইটে কাস্টমস কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন শুরু করেন। বিল অব এক্সপোর্ট দাখিলের কাজও শুরু হয় কাস্টম হাউসে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে দুই দিনের ক্ষতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে যদি সংশ্লিষ্ট সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করেন।
বিষয়টি বাংলানিউজকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম সাইফুল আলম। তিনি বলেন, সন্ধ্যা থেকে রপ্তানি চালানের শুল্কায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার থেকে পুরোদমে কাজ চলবে।
বেসরকারি কনটেইনার ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডার মহাসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে কাস্টমস কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছেন। আমরা বন্দরের তিনটি গেইট দিয়ে পণ্যচালান আনা-নেওয়া করি। তিনটি গেইটেই কাস্টমস কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন অফডকেও যোগদান করছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ২১টি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোর মধ্যে ১৯টি ডিপো রপ্তানি পণ্য নিয়ে কাজ করে। এসব ডিপোতে রপ্তানিযোগ্য ১৪ হাজার ৩৭১ টিইইউস কনটেইনার রয়েছে। প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার রপ্তানি পণ্যভর্তি কনটেইনার বন্দরে পাঠানো হয় অফডক থেকে। আজ দিনের বেলা কনটেইনারবাহী কোনো জাহাজ বন্দর ছেড়ে যায়নি। আগামীকাল পাঁচটি কনটেইনার জাহাজ বন্দর ছেড়ে যাওয়ার শিডিউল রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি রপ্তানি পণ্যভর্তি কনটেইনার জাহাজে তুলে দিতে।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘণ্টা সপ্তাহে ৭ দিন জাতির সেবায় নিয়োজিত। এনবিআরে কমপ্লিট শাট ডাউনের কারণে কাস্টম হাউসে কাজ হয়নি। বন্দরের ভেতরে আনস্টাফিং, গেইটে যাচাই কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে কাস্টমস কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় কনটেইনার ডেলিভারি প্রায় বন্ধ ছিল। অফডকগুলোতে কাস্টমস কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় রপ্তানি কনটেইনারও বন্দরে পৌঁছাতে পারেনি। আমরা আশাকরি, কাস্টমসে কাজ পুরোদমে শুরু হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এআর/পিডি/টিসি