চট্টগ্রাম: নির্মাণাধীন ভবনের নয় তলা থেকে পড়ে তিন শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে নগরের কোতোয়ালীর রঙ্গম কনভেনশন হল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রথমে আহত অবস্থায় তিনজনকেই চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় আরেকজনকে।
নিহতরা হলেন, নোয়াখালী জেলার চরজব্বর এলাকার ফিরোজ গোয়ালের ছেলে মো. হাসান (৩৬), সুবর্ণচর এলাকার মো. সেলিমের ছেলে ফখরুল ইসলাম (৩৯) এবং চরজব্বর চরনাঙ্গালিয়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে রাশেদ (২৭)।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল আলম আশেক বাংলানিউজকে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার পর তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করে। গুরুতর আহত রাশেদকে ২৮নং ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশেদও মারা যান।
নিহত শ্রমিকদের সহকর্মী জানান, আমরা একসঙ্গে কাজ করি। ওরা তিনজন মিস্ত্রি। তারা ভেতরে কাজ করে। আমরা বালু দিতেছি। একজন পাট্টা মারে, একজন মাজা মারে, একজন গোলা মারে। মাচাটি দুর্বল ঝুঁকিপূর্ণ এটা জানিয়েছি ঠিকাদারকে। নতুন মাচা দেবে দেবে বলে নয় দিন পার করেছে। বৃহস্পতিবার আমরা কাজ করিনি। রোববার খোরাকি দেবে বলেছিল। তাই রোববার পর্যন্ত কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আজ তিনজন মাচা ভেঙে পড়ে মারা গেছে। প্রথমে ফখরুল, তারপর হাসান মারা যান। চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রায় তিনঘণ্টা থেকে মারা যান রাশেদ। মাচায় চারজন ছিলেন। একজন লাফ দিয়ে প্রাণ বাঁচান।
নিহত রাশেদের চাচা বলেন, আমার ভাতিজার বয়স ২৪ বছর। আজ দুপুরে নয়তলা ভবন থেকে পড়ে মারা গেছে। ঠিকাদার জোর করে কাজ করাচ্ছিলেন। নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না। ঠিকাদার জামাল আমাদের মামলা ছাড়াই দাফন কাফনের খরচসহ লাশ নিয়ে যেতে বলেছেন। আমরা ক্ষতিপূরণ চাই।
রাশেদের বাবা বলেন, তিন মাস ধরে ছেলে এখানে কাজ করছিল। মাচার সেফটি ছিল না। ছেলে হারিয়ে আমার জীবন অন্ধকার হয়ে গেছে। আমি বিচার চাই।
এআর/পিডি/টিসি