ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ সফর ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ট্রলারে নিষিদ্ধ সরঞ্জাম স্থাপনে জড়িত ভারতীয় নাগরিক আটক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৩৫, আগস্ট ১২, ২০২৫
ট্রলারে নিষিদ্ধ সরঞ্জাম স্থাপনে জড়িত ভারতীয় নাগরিক আটক ভারতীয় নাগরিক আটক

চট্টগ্রাম: বাঁশখালীতে ফিশিং বোটে নিষিদ্ধ ট্রলিং সরঞ্জাম স্থাপনের মূলহোতা ভারতীয় নাগরিক পণ্ডিত বিশ্বাসকে (৩৮) যৌথ অভিযানে আটক করেছে কোস্টগার্ড ও সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট রাফিদ-আস-সামি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানাধীন শেখেরখীল এলাকার একটি গুদামে ফিশিং বোটের নিষিদ্ধ ‘আর্টিসনাল ট্রলিং সরঞ্জাম’ তৈরির কাজ চলছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার মধ্যরাত সাড়ে ১২টায় কোস্ট গার্ড কন্টিনজেন্ট বাঁশখালী ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চালানো হয়।

এ সময় একটি গুদামে তল্লাশি চালিয়ে নিষিদ্ধ ট্রলিং জাল তৈরির সময় প্রায় ২৫ লাখ টাকার ৭টি অবৈধ ট্রলিং জাল, ১৭ হাজার টাকার ৩৪ পিস ইয়াবা, ৩০০ টাকার ১০ গ্রাম গাঁজা ও নগদ ৭৩ হাজার ২৩০ টাকাসহ ৩ জন বাংলাদেশি কারিগর এবং নিষিদ্ধ ট্রলিং সরঞ্জাম স্থাপনের মূলহোতা ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়।

আটকদের মধ্যে অমল চন্দ্র (৪৫) বরগুনার, নাথন বিশ্বাস (৬০) মোংলার ও আকাশ বিশ্বাস (৩৫) সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। পণ্ডিত বিশ্বাস (৩৮) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বাসিন্দা বলে জানা যায়।

আটক ভারতীয় নাগরিকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গুদামের মালিক মান্নান মিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তার একটি ভারতীয় পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।  

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পণ্ডিত বিশ্বাস বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে ফিশিং বোটে নিষিদ্ধ ‘আর্টিসনাল ট্রলিং’ সরঞ্জাম স্থাপন করে আসছিল। ২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত বাংলাদেশে যাতায়াত করতো। সর্বশেষ গত ২ মে পুনরায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে প্রথমে বরগুনা জেলার পাথরঘাটায় এবং পরবর্তীতে গত ২৫ জুলাই থেকে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিভিন্ন ফিশিং বোটে নিষিদ্ধ ট্রলিং সরঞ্জাম স্থাপনের কাজ করছে। তাঁর বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।  

কাঠের তৈরি ফিশিং বোটে অবৈধভাবে ট্রলিং সরঞ্জাম ও ছোট ফাঁসের ‘বেহুন্দি জাল’ স্থাপন করে যান্ত্রিক ‘ট্রলিং ট্রলারে’ রূপান্তর করা হয়। যার ফলে প্রবাল, সামুদ্রিক গাছপালা ও পোনামাছ ধ্বংস হয়ে ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে বঙ্গোপসাগরে মৎস্য শূন্যতার আশঙ্কা তৈরি করছে।

জব্দ করা আলামত ও আটক আসামিদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।  

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।