চট্টগ্রাম: পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান দুদেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বৃদ্ধি, সরাসরি জাহাজ চলাচলসহ অন্যান্য স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে এসে তিনি এ আশ্বাস দেন।
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক অবস্থা বিশেষ করে বন্দরে পরিচালনা পর্ষদ, কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং, শ্রম ব্যবস্থাপনা, বিদেশি বিনিয়োগ, অটোমেশনসহ বন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন সূচক সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করলে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক উন্নতি ও অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বিদেশি বিনিয়োগের ব্যপারে উল্লেখ করেন যে, করাচি পোর্ট ট্রাস্টে হাচিসন পোর্ট গ্রুপ একটি কনটেইনার টার্মিনাল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি পোর্ট (এডি পোর্ট) একটি বাল্ক টার্মিনাল পরিচালনা করছে। এ ছাড়াও পোর্ট কাশিমে ডিপি ওয়ার্ল্ড দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির ভিত্তিতে একটি টার্মিনাল পরিচালনা করছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বন্দরের সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। বিশেষ করে বিগত বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের রেকর্ড পরিমাণ কনটেইনার হ্যান্ডলিং, জাহাজের ওয়েটিং টাইম ০-২ দিনে নামিয়ে আনা, জাহাজের গড় অবস্থান কাল (টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম) কমানোসহ বন্দরের সাম্প্রতিক অটোমেশান ও ডিজিটালাইজেশনের ব্যাপারে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
সভা শেষে পাকিস্তানের প্রতিনিধিদল বন্দরে অপারেশনাল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
পরির্দশনকালে পাকিস্তান দূতাবাসের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ দূত জেইন আজিজ, বাণিজ্যিক সহযোগী ওয়াকাস ইয়াসিন এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনিন কাউসার চৌধুরী, বে টার্মিনালের প্রকল্প পরিচালক কমডোর মো. মাহফুজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এআর/পিডি/টিসি