চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, বিএনপি এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী। যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দীর্ঘ ১৬ বছর একটি স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে নগরের হামজারবাগ এলাকার একটি হলে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপিই জনগণের একমাত্র আস্থা ও ভরসা জানিয়ে চট্টগ্রাম আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপিতে কোনো অন্যায়কারীকে, কোনো অপরাধীকে স্থান দেওয়া যাবে না। সমাজে যারা সৎ ও স্বজ্জন, যারা মানুষের কল্যাণে কাজ করে তাদেরকে দলের সদস্য করতে হবে। যারা এই দলের সদস্য হবে তারা পরিচয় দিতে পারবে সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দলের সদস্য হিসেবে। তাই যাচাই-বাছাই করে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো নির্বাচন। নির্বাচনকে নিয়ে এখনো নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবি করা নির্বাচনকে বানচাল করার একটি অপপ্রয়াস। কেননা জনগণ তাদের প্রত্যক্ষ ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়। তাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সংসদে গিয়ে তার এলাকার সমস্যা নিয়ে কথা বলবে, এলাকার উন্নয়নে কাজ করবে এবং সুখে-দুঃখে এলাকার মানুষের পাশে থাকবে। গত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এ অধিকার থেকেই জনগণকে বঞ্চিত করেছে। তাই একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে পারলেই আমাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম এবং সকল আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী মো. আসলামের সভাপতিত্বে এবং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল আলম মুন্সী ও সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এম এ হামিদ দিদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইসকান্দর মির্জা, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুর আলম মঞ্জু, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক জি এম আইয়ুব খান, ৪৩ নম্বর আমিন শিল্পাঞ্চল ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি এস এ সেলিম, ৩ নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু কালাম আবু, ৪৩ নম্বর আমিন শিল্পাঞ্চল ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম এবং পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
এমআই/পিডি/টিসি
