চট্টগ্রাম: শাহ আলম। বয়স ৪০।
দুঃখ গরি বাংলানিউজরে হইল তার হষ্টর হতা, ‘বদ্দা এক সমত পইট্টা ফলর ব্যবসা গইরত্তাম। ছোট ভাইয়ে এহন আঁরে রাস্তাত নামাইয়্যি। ভাগ্য বদলাইবাললাই ছোট ভাইরে চার লাখ টেয়া হরচ গরি সৌদিয়া পাঠাইলাম। আড়তদারত্তুন হজ্জ গরি এই টেয়া পইসা ব্যবস্থা গরগিলাম। যাইয়িরে দুই মাস লাখ খানিক টেয়া পাঠাইয়িল। পরত্তুন আর কোন খবর নাই। হজ্জ পুজিত ন পারি ফলর ব্যবসা ছাড়ি দি। ’ (দু:খ করে বাংলানিউজকে বলেন তার কষ্টের কথা, ভাই একসময় পটিয়ায় ফলের ব্যবসা করতাম। ছোট ভাই এখন আমাকে রাস্তায় নামিয়েছে। ভাগ্য বদলানোর জন্য ছোট ভাইকে চার লক্ষ টাকা খরচ করে সৌদিআরব পাঠিয়েছিলাম। আড়তদার থেকে ঋণ করে টাকার ব্যবস্থা করেছিলাম। গিয়ে দুই মাসে লাখখানেক টাকা পাঠিয়েছিল। এরপর থেকে আর কোন খবর নেই। ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে ফলের ব্যবসা ছেড়ে দেই। )
ডঁর গরি নিয়াশ ফেলাই হদ্দে, ‘ফুন্নিদি তে এডে পইসা হামার আর মৌচ গরের। আরার হবর লনর দরহার কি?’ (দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিনি বলেন, শুনেছি সেখানে সে টাকা কামাচ্ছে আর ফূর্তি করছে। আমাদের খবর নেয়ার দরকার কি ? )
দিনত ন চলাই রাতিয়্যা কা রিক্সা চলার জাইনতো চাইলি শাহ আলম হদ্দে,‘আগে ব্যবসা গইরত্যাম। মাইনসে জনে চিনে। দিনত রিকশা চলাতে শরম লাগে। ইতাল্লাই রাতিয়্যা চালাইদি। ’ (দিনে না চালিয়ে রাতে কেন রিক্সা চালান জানতে চাইলে শাহআলম বলেন, আগে ব্যবসা করতাম। মানুষ চিনে। দিনে রিক্সা চালাতে লজ্জা লাগে। এজন্য রাতে চালাই। )
পরে আবার হদ্দে,‘তই রাতিয়্যা রিকশা চলনর এক্কান সুবিধা আছে। দিনত রাস্তা তাহে জাম। রাতিয়্যা রিকশা চালাই আরাম পন যাই। গাড়ি হম তাহে, জামও ন তাহে। ছালামে বড় বড় ফ্লাইওভার গরের কিন্তু রাস্তায়্যুন ঠিক ন গরের। ’ (পরে আবার বলেন, রাতে রিক্সা চালানোর সুবিধা আছে। দিনে রাস্তায় জ্যাম থাকে। রাতে রিক্সা চালিয়ে আরাম পাওয়া যায়। গাড়ি কম থাকে, জ্যামও থাকেনা। ছালাম (সিডিএ চেয়ারম্যান) বড় বড় ফ্লাইওভার করেছে কিন্তু রাস্তা ঠিক করেনি। )
শাহ আলম হদ্দে, ‘বেয়াক্কল অল গোডা শরর রাস্তা বেয়াগ্গুন কুড়ি কুড়ি শেষ গরি ফেলেইয়্যি। কেনে গাড়ি চালাইতাম। হদ্দুর গেলি গা আত বিষ গরের। ’ (শাহআলম বলেন, বেআক্কেল সবাই সারা শহরের সব রাস্তায় গর্ত করে রেখেছে। কিভাবে গাড়ি চালাব ? কিছুদূর গেলেই শরীর ব্যাথা হয়ে যায়। )
পোয়া অলে লেহাপড়া গরেন না জাইনতু চাইলি শাহ আলম হদ্দে,‘পোয়া-ছা ল্লেতু এই হষ্ট। বড় পোয়া এই বছর আইয়্যু পাস গরগ্যি। ছোট আরও তিন ছেলে এক মেয়ে আছে। আল্লদিলি বেয়াগ্গুনে পড়া লেহা গরের। ’ (সন্তানেরা লেখাপড়া করছে কিনা জানতে চাইলে শাহআলম বলেন, সন্তানের জন্যই তো আমার সব কষ্ট। বড় ছেলে এ বছরে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেছে। ছোট আরও তিন ছেলে এক মেয়ে আছে। আল্লাহর ইচ্ছায় সবাই পড়ালেখা করছে। )
পরদি হাঁদের পান গরি হদ্দে,‘আল্লায় কি আর ন হাবাই রেখ্যিনা। বাপদিন্না জমি জিরাত আছে। ভাত দুয়াতো হনরহম হাইর। ’ (পরে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আল্লাহ অনাহারে রাখেনি। পৈতৃক জমি আছে। ভাত দুটো কোনমতে খাচ্ছি। )
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারী ০৬, ২০১৪