ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলানিউজের অবিরাম এক রাত

তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৫
বাংলানিউজের অবিরাম এক রাত ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: বিএনপির ডাকা অবরোধের সঙ্গে চট্টগ্রামে যুক্ত হয়েছে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল।   মঙ্গলবার কী হতে যাচ্ছে তা নিয়ে চট্টগ্রামবাসী যখন উৎকণ্ঠায় তখনই সোমবার রাত জেগে পাঠকদের কাছে সংবাদ পৌঁছানোর সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয় বাংলানিউজের চট্টগ্রাম ব্যুরো।



এ ঘোষণা সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয় বাংলানিউজে, সংযুক্ত করা হয় চট্টগ্রাম ব্যুরোর সঙ্গে যোগাযোগের ফোন নম্বর।   সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই মুহুর্তের জন্য বিশ্রাম পায়নি বাংলানিউজের ফোন।


শুধু চট্টগ্রাম নয়, দেশ এবং দেশের বাইরে অবস্থানরত প্রবাসীরাও ফোন দিয়ে সাধুবাদ জানায় বাংলানিউজ পরিবারকে।   আলাপে চট্টগ্রামসহ দেশের রাজনৈতিক অবস্থার ব্যাপারেও জানতে চান তারা।   খোঁজ নেন, সর্বশেষ সংবাদের।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফোন দেন কাতার প্রবাসী সাইদ ফজল শিকদার।   ফোনালাপে তিনি রাত জেগে কাজ করার এ উদ্যোগের জন্য বাংলানিউজের ভূয়সী প্রশংসা করার পাশাপাশি দেশের শীর্ষ এই পোর্টালটির প্রতি তার আস্থা ও ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেন।

রাত একটার দিকে বাঁশখালি থেকে ফোন করেন জাহেদুল ইসলাম নামের এক পাঠক।   তিনি নিজেকে চাকরিজীবী পরিচয় দিয়ে, বাংলানিউজকে এ ধরণের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ জানান।

গভীর রাতে যোগাযোগ করে বাংলানিউজের এ কার্যক্রমকে স্বাগত জানান পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক আমির হোসেন সোহেল এবং জহিরুল ইসলাম।

এছাড়াও, কারিতাসের আঞ্চলিক পরিচালক জেমস গোমেজ, পটিয়া হাবিলাস দ্বীপ থেকে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী দীপক সরকার, কক্সবাজার থেকে দুলাল বড়ুয়া, মিরসরাইয়ের সরওয়ার, রাউজানের অধিবাসী মো. আসিফসহ অসংখ্যা পাঠক বাংলানিউজের প্রতি ফোনে তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন।

সোমবার পরীক্ষামূলকভাবে ২৪ ঘণ্টার জন্য চালু রাখা হয় বাংলানিউজের চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিস। সারারাত জেগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংবাদ পাঠকদের জন্য তুলে ধরেন বাংলানিউজ চট্টগ্রাম টিমের সদস্যরা।

রাত জেগে নগরীর প্রবেশদ্বার কর্ণফুলী সংযোগ সেতু, কোতোয়ালী থানা ও অভয়মিত্র ঘাট এলাকা ঘুরে সংবাদ পরিবেশন করেন বাংলানিউজের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট রমেন দাশগুপ্ত, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট আবদুল্লাহ আল মামুন ও স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট সোহেল সরওয়ার।

নগরীর জুবিলী রোড, চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ও বন্দর এলাকা ঘুরে সংবাদ তুলে ধরেন সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট মো. মহিউদ্দিন, স্টাফ করেসন্ডেন্ট ইফতেখার ফয়সাল, এসবি টুপসি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় করেসপন্ডেন্ট বিপ্লব পার্থ। দুইটি টিমের সঙ্গেই সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখেন নিউজরুম এডিটর ইসমেত আরা।

ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগের পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন।   শেষ রাত পর্যন্ত নির্ঘুম থেকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও উপদেশ দিয়ে পুরো কার্যক্রম সমন্বয় করেন এডিটর ইন চিফ।

বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।