চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে মরদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগে গ্রেফতার মো. সেলিম ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চট্টগ্রাম মেট্রো সেলিমকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। সন্ধ্যা নাগাদ সেলিমের জবানবন্দি রেকর্ড শেষ হয়।
আদালত সূত্র বলছে, আসামি সেলিম মর্গে মরদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করার কথা আদালতের কাছে স্বীকার করেছেন। গত ১ মার্চ এ ঘটনায় সেলিমকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
মো. সেলিম অস্থায়ী ভিত্তিতে চমেক হাসপাতালের মর্গে কাজ করতেন। এর আগে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১২ বছরের এক কিশোরীর মরদেহ আসে চমেক হাসপাতালের মর্গে। একইভাবে এপ্রিলেও আরেক নারীর মরদেহ আসে মর্গে। ময়নাতদন্তকালে চিকিৎসক উক্ত মরদেহ দুইটি ময়নাতদন্তপূর্বক মৃত্যুর আগে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না সে সম্পর্কে মতামতের জন্য মরদেহ থেকে এইচভিএস (হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াব) সংগ্রহ করে সিআইডিতে পাঠায়। সিআইডির ডিএনএ ল্যাবের বিশেষজ্ঞরা ওই সোয়াবে পুরুষ শুক্রাণুর উপস্থিতি পান। প্রতিটি আলামতের ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করে তারা। এরপর বিশেষজ্ঞরা মতামত দেন দুই মরদেহের ময়নাতদন্তে সংগৃহীত এইচভিএসে মিলেছে একই পুরুষের শুক্রাণু। পরে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে সিআইডি।
সেলিম মরদেহের ঘরে দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করতেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বা জরুরি বিভাগে মৃত্যু হলে জরুরি বিভাগের মরদেহের ঘরে মরদেহ রাখা হয়। সেখানে মরদেহগুলোর সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করতেন সেলিম। এর আগে ২০১৭ সালে সেলিমের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সিআইডি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২২
এমআই/টিসি