চট্টগ্রাম: উদ্বোধনের পর গত আড়াই বছরে ভাণ্ডালজুড়ি পানি প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি মাত্র ৬৫ শতাংশ। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৩ সালের জুনে।
২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি একনেক সভায় অনুমোদন পায় চট্টগ্রাম ওয়াসার বোয়ালখালী ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্প। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি প্রথম সংশোধিত আকারে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি।
চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী এবং ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা মো. গোলাম কিবরিয়া শাকিল বাংলানিউজকে বলেন, পাইপলাইন বসানোর কাজ ৯০ শতাংশের মতো শেষ হয়েছে। এছাড়া যন্ত্রপাতি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের কাজ চলছে। কোরিয়ান ইপিজেডে পাম্প স্টেশনের কাজও প্রায় শেষ। সব জায়গায় অবকাঠামোগত কাজগুলো শেষ হয়েছে। শুধু যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ বাকি রয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চালু করা যাবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ করতে পেরেছি, বাকি ৩৫ শতাংশ কাজও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবো।
জানা গেছে, পুরো প্রকল্পের ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইনের মধ্যে ১২০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। ভাণ্ডালজুড়ি প্রকল্প এলাকায় ট্রিটমেন্ট প্লান্টের কাজ চলছে। বোয়ালখালীর ভাণ্ডালজুড়ি প্রকল্প এলাকা থেকে পটিয়া পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সরবরাহ লাইন বসানোর কাজ শেষ। অন্যদিকে পটিয়া পৌরসভাসহ আশপাশের এলাকায় ৬০ কিলোমিটার সার্ভিস লাইনের কাজও শেষ হয়েছে।
নদীর তীরে ও দুই পাহাড়ের পাদদেশে প্রায় ৪১ দশমিক ২৬ একর জায়গায় গড়ে ওঠা এ মেগা প্রকল্পের সঙ্গে পটিয়া বাইপাস এলাকায় পাঁচ একর জায়গায় ও আনোয়ারা দৌলতপুর মৌজায় ২ দশমিক ৯৪ একর জায়গায় পৃথক দুটো জলাধার নির্মাণের কাজও শুরু করে ওয়াসা।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পের যে অগ্রগতি এতে আমরা সন্তুষ্ট। বৈশ্বিক করোনা মহামারী চলাকালেও আমাদের এ প্রকল্পে কাজ বন্ধ ছিল না। সে হিসেবে আমাদের প্রকল্পের অগ্রগতিও ভালো। বাকি যে সময় আছে তার মধ্যে পুরো কাজ শেষ করা যাবে।
২০০৯ সালে কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যাজেন্সি (কোইকা) চট্টগ্রামের পানি সরবরাহ বৃদ্ধি ও পয়োনিষ্কাশন মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্প নেওয়া হয়। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দৈনিক ছয় কোটি লিটার পানি সরবরাহ হবে চট্টগ্রাম নগরসহ বিভিন্ন উপশহরে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম মহানগরে পানি সংকট নিরসন হবে। সেই সঙ্গে উপশহরগুলো বিশেষ করে পটিয়া, আনোয়ারা, কর্ণফুলি, বোয়ালখালী উপজেলার বিভিন্ন শিল্প কারখানায় সুপেয় পানি সরবরাহ করা যাবে। এতে ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা অনেকাংশে কমবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২২
এমআর/এসি/টিসি