চট্টগ্রাম: বাঃ কী সুন্দর! প্রথম দেখাতেই অতিথিরা মুগ্ধ। পিংক-সাদা ‘ক্যাসিয়া গ্র্যান্ডিস’ ফুলের শোভায় ঝলমলে চারপাশ।
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্টের অফিসের সামনেই গাছটি লাগানো হয়েছে। লাগিয়েছেন বৃক্ষপ্রেমী কমান্ড্যান্ট ড. সাজিদ হোসেন নিজেই।
বুধবার (১১ মে) দুপুরে এ গাছটি সম্পর্কে ড. সাজিদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আশির দশকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে দেখেছিলাম অনেক গাছের মধ্যে একটি গাছ ভিন্ন রকমের। পাতাটি দেখেই আমার পছন্দ হয়ে যায়। একবার দেখি ফুল এসেছে। অসাধারণ মনে হয়েছিল। কিন্তু নাম জানি না তাই নার্সারিতে বলতে পারতাম না এ গাছটি প্রয়োজন। একপর্যায়ে ১৫-২০ বছর পর ঢাকায় গিয়ে জানতে পারলাম সাভারে গেলে এ গাছটি পাব। ২০১১ সালের দিকে দুইটি চারা কিনলাম ২ হাজার টাকায়। মেরিন একাডেমিতে লাগালাম চারা দুইটি। এখন সেই গাছে ফুল হচ্ছে। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও চারা বা কলম করতে পারিনি।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ ক্যাম্পাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লাগানো বকুল গাছ আছে। একাডেমিতে আগে গাছপালা কম ছিল, এখন আমরা পরিকল্পিতভাবে ফলদ, বনজ, ঔষধি ও ফুলের চারা লাগাচ্ছি। গাছ শুধু অক্সিজেন দিচ্ছে, ক্যাম্পাসের শোভা বাড়াচ্ছে তা নয়, একই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের পশু, পাখির আহার, বাসস্থান তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গাছের বিকল্প নেই।
সরেজমিন দেখা গেছে, আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, খেজুর, সফেদা থেকে শুরু করে থোকায় থোকায় দেশি ফল ধরেছে ক্যাম্পাসজুড়ে। পাশাপাশি হিজল, জারুল, কৃষ্ণচূড়াসহ নানা জাতের ফুলের শোভাও মন ভরাচ্ছে ক্যাম্পাসের বাসিন্দা ও অতিথিদের।
>> মেরিন একাডেমিতে এসটিএস সিমুলেশন কোর্স শুরু
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২২
এআর/টিসি