কলকাতাঃ সারা বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও এদিন পালিত হয়েছে মে দিবস। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবার চেনা মে দিবসটিকে প্রত্যক্ষ করলো না কলকাতা শহর ।
গত ৩৫ বছরে চেনা শহরটি হঠাৎ করেই যেন বদলে গেছে। বাম জমানার অবসানের সাথে সাথে মে দিবসের চরিত্রও বদলে গেছে।
প্রতি বছর সাবেক বামফ্রন্ট সরকার এদিনটিতে সবকটি সংবাদপত্রে লাল রঙের বিজ্ঞাপন দিয়ে রাজ্যবাসীকে দিনটির কথা মনে করিয়ে দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতো।
দিন বদলেছে, বিজ্ঞাপনের রঙ বদলেছে। লালের বদলে সবুজ রঙের বিজ্ঞাপন এবার সংবাদপত্রের পাতায়। পাড়ায়, পাড়ায় নেই শ্রমিকশ্রেণীর রক্তপতাকায় আঁকা কাস্তে হাতুড়ি। নেই গণসংগীতে মে দিবসের গান।
এদিকে রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এত দিন সিটু-সহ বামপন্থী শ্রমিক ইউনিয়নগুলির উদ্যোগে এই কায়দায় মে-দিবস পালন করা হত তা ‘হাইজ্যাক’ করতে তৎপর আইএনটিটিইউসি। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যের সর্বত্র কারখানার গেটে সবুজ পতাকা টানিয়ে মে দিবস পালনের জন্য শ্রমিক কর্মচারীদের বলা হয়েছে।
ধর্মতলায় পালিত হয় কেন্দ্রীয় কর্মসূচী। এই কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল শ্রমিক শাখার সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত মুখোপাধ্যায়, রাজ্য শাখার চেয়ারম্যান পূর্ণেন্দু বসু, সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেন প্রমুখ। মে-দিবসকে সামনে রেখে ১২ তারিখ পর্যন্ত নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
আগামী শুক্রবার বিকেলে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল। মিছিলের পরে ধর্মতলায় কেন্দ্রীয় সমাবেশ। মেট্রো চ্যানেলে হবে সপ্তাহ ব্যাপী পোস্টার প্রদর্শনী।
অন্যদিকে রাজ্যের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবারের মে দিবস সিটুর কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর বহু কারখানায় সিটু সাইনবোর্ডে পরিণত হওয়ায় ফের ঘুরে দাঁড়াতে মে দিবসকে হাতিয়ার করতে চাইছে সিটু।
ফলে শ্রমিক কর্মচারীদের অধিকার রক্ষার দাবিতে আজ তারা সোচ্চার হচ্ছে। বিভিন্ন কারখানায় ও ইউনিয়ন অফিসের সামনে পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি বিকালে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও কর্মচারী ফেডারেশনগুলির ডাকে কলকাতার শহীদ মিনার ময়দানে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর: নিউজরুম এডিটর