আগরতলা (ত্রিপুরা) : ৪টি সীমান্ত হাট চালুর ব্যাপারে ত্রিপুরায় আসছে ভারত-বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল।
দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই প্রতিনিধি দলটি রাজ্যে আসছে ৯ জুন।
তিনি জানিয়েছেন, প্রতিনিধি দলে থাকবেন কাস্টমসের কর্মকর্তারাও। এ দলটি প্রস্তাবিত ৪টি সীমান্ত হাট এলাকা এবং রাজ্যের ৭টি ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন ঘুরে দেখবেন।
মন্ত্রী জানান, রাজ্যের দাবি মেনে ৪টি বর্ডার হাট বা সীমান্ত বাণিজ্য কেন্দ্র খোলার অনুমতি দিয়েছে ভারত এবং বাংলাদেশ সরকার।
আগামী ২০১২-১৩ অর্থবছরে ত্রিপুরা বাংলাদেশ সীমান্তে খুলতে যাচ্ছে বর্ডার হাট বা সীমান্ত বাজার। ত্রিপুরা সরকার কেন্দ্রের কাছে ৪টি বর্ডার হাট গড়ার কথা বলেছিল। রাঘনা, কমলপুর, কমলাসাগর, এবং সাব্রুমের শ্রীনগরে একটি করে বর্ডার হাট করার দাবি জানানো হয়েছে।
ত্রিপুরা সরকার এবং বাংলাদেশের বণিক সমিতির বহু দিনের দাবি ছিল, এই অঞ্চলে বর্ডার হাট করার জন্য। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি না দেওয়ার কারণে এই দাবি পুরণ হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার বর্ডার হাট করার ব্যাপারে রাজি হয়েছে।
৯ জুন দু’দেশের প্রতিনিধিরা রাজ্যে এসে প্রথমে রাজ্যের শিল্প বাণিজ্য দফতরের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ১০ জুন উত্তর জেলার রাঘনা ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন থেকে তারা সফর শুরু করবেন।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আনন্দ শর্মা জানিয়েছেন, আগামী অর্থবছরেই ত্রিপুরায় বর্ডার হাট করার জন্য তারা অর্থ এবং প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেবেন।
কিছু দিন আগেই মেঘালয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে কেন্দ্রীয় সরকার একটি বর্ডার হাট গড়েছে। কিন্তু মেঘালয়ের বর্ডার হাট বা সীমান্ত বাজার খুব বেশি জনপ্রিয় হয়নি বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। এর অন্য কারণও আছে। মেঘালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতিগত দূরত্ব অনেক। এর মধ্যে ভাষা অন্যতম। এছাড়া খাদ্যাভাসের মধ্যেও বহু পার্থক্য বিদ্যমান। ফলে এ ধরনের বাজার জনপ্রিয় হওয়ার পক্ষে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে।
কিন্তু ত্রিপুরায় সে সমস্যা নেই। ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের মধ্যে ভাষা এবং সংস্কৃতিগতভাবে অনেক মিল রয়েছে। এখানে সীমান্ত বাজার জনপ্রিয় হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় : ২১৩০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১২
তন্ময় চক্রবর্তী
সম্পাদনা : আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর