নয়াদিল্লি: ভারতের বহুল আলোচিত লোকপাল বিল পাস হওয়া না হওয়ার বিষয়টি রাজ্যসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন পর্যন্ত ঝুলে গেল। প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য বিলটির খসড়া পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সদ্যগঠিত ১৫ সদস্যের নির্বাচক কমিটিতে।
আর মঙ্গলবারই শেষ হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। আর একারণেই অন্তত বর্ষাকলীন অধিবেশন পর্যন্ত ঝুলে গেল এ দুর্নীতি বিরোধী বিলের ভবিষ্যত্।
এদিকে লোকপাল বিলের খসড়া নিয়ে এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের মতো শরিক দলগুলোরও আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে ক্ষমতাসীন জোটের কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় রাজ্যসভায় বিলের খসড়া পেশ করলেও তা অনুমোদনের জন্য ভোটাভুটির ঝুঁকি নিতে চাইছে না মনমোহন সরকার।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ ডিসেম্বর দিনভর বিতর্কের পর লোকসভায় পাস হয়েছিল লোকপাল বিল। পরে শরিক ও সমর্থক দলগুলোর আপত্তির মুখে শেষ পর্যন্ত এ বিলকে সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হয় মনমোহন সিং সরকার।
লোকসভায় লোকপাল বিল সমর্থন করলেও বিলের খসড়ায় লোকাযুক্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের সুযোগ রয়েছে- এ অভিযোগ তুলে রাজ্যসভায় বিলের ব্যাপারে আপত্তি তোলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা।
সোমবারও বিরোধী দলগুলো একই বিষয়ে আপত্তি করে। এর মধ্যে বিজেপি সিবিআই ডিরেক্টর নিয়োগ ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে দেওয়ার প্রস্তাবেরও তীব্র বিরোধিতা করে। কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিল পাসে আবেদন জানালেও তা মানতে চাননি বিরোধীরা।
এদিন অধিবেশনের শুরুতে কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী পবনকুমার বনশল লোকপাল বিলের খসড়া নিয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্য বিজেপির রাজ্যসভার নেতা অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠক করলেও তাতে লাভ হয়নি। বরং সরকার সমর্থক সমাজবাদী পার্টির সাংসদরা এদিন ভোটাভুটির আগে বিলের খসড়া নিয়ে সিলেক্ট কমিটিতে আলোচনার দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৭ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১২
আরডি/
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর