ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ফেনী নদীতে সেতু: জরিপ কাজ শুরু

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১২
ফেনী নদীতে সেতু: জরিপ কাজ শুরু

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার একদম দক্ষিণের শহর সাব্রুম। শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে নবীণ পড়া।

সেখানে এখন নতুন করে শুরু হয়েছে কর্ম ব্যস্ততা। এখানেই গড়ে উঠবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ফেনী নদীর ওপর সেতু।

সেতু তৈরির জন্য সেখানে শুরু হয়েছে জরিপের কাজ। আর তাই কাঁটা, কম্পাস নিয়ে নিয়ে ব্যস্ত প্রকৌশলীরা। এদিকে প্রকৌশলীরা যেখানে কাজ করছেন তার পাশে দাঁড়ানো বিএসএফের জওয়ানরা।

স্থানীয় ভাষায় এই নদীটির নাম চিংড়িছড়া। এই চিংড়ি ছড়া সামনে এগিয়ে মিশেছে ফেনী নদীর সঙ্গে। যা ভারত ও বাংলাদেশকে বিভক্ত করেছে। এর এক পাড়ে ত্রিপুরা অন্য পাড়ে বাংলাদেশের ফেনী।

কলকাতার আইএল অ্যান্ড এফএস নামের একটি সংস্থা এখানে জমি জরিপের কাজ পেয়েছে।

সংস্থার এক কর্মকর্তা মহম্মদ হানিফ বাংলানিউজকে জানান, ২১ মে থেকে জরিপের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হতে আরও এক সপ্তাহ লাগবে। এরপর হবে সেতু নির্মাণের জন্য মাটি এবং পানি পরীক্ষার কাজ।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সহজে সংযোগ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের সুবিধা পেতে বহু দিন ধরেই ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ত্রিপুরা দাবি করে আসছিল।

এ সেতু নির্মাণ হয়েলে সাব্রুম থেকে বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব দাঁড়াবে মাত্র ৭২ কিলোমিটার। এই সংযোগ গড়ে উঠলে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের সুবিধা পেতে সহজ হবে।

সেতু নির্মাণে বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিয়ে ত্রিপুরার শিল্প বাণিজ্য দফতর একটি সমীক্ষা চালায়।

প্রায় দেড়শ মিটার দীর্ঘ এই সেতু তৈরিতে খরচ হবে ভারতীয় টাকার প্রায় একশ কোটি টাকা।

রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী জানান, আপাতত জমি জরিপের কাজ শুরু হয়েছে। এ কাজ শেষ হলে সেতুর জন্য স্থান বাছাই হবে।

তিনি জানান, এই একটি মাত্র সেতু বদলে দিতে পারে গোটা অঞ্চলের চেহারা। ফেনী নদীর উপর সেতু হলে এ এলাকার কাছে চলে আসবে চট্টগ্রাম বন্দর। একে কাজে লাগিয়ে বাড়ানো যাবে ব্যবসা-বাণিজ্য। নতুন দ্বার খুলে যাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য। অবশ্য একা উত্তর-পূর্বাঞ্চল নয় বাংলাদেশের চট্টগ্রামসহ ফেনী অঞ্চলের উন্নয়ন ত্বরান্তিত হবে এতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১২
সম্পাদনা: ওবায়দুল্লাহ সনি, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।