ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মমতাকে স্মারকলিপি ছিটমহল বিনিময় কমিটির

শিলিগুড়ি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১২

শিলিগুড়ি: আসাম সীমান্তের উত্তরে রাজ্যের শেষ জেলা কুচবিহার সফরে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আবারও উন্নয়নের বার্তা দিলেন। ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি একটি স্মারকলিপি দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে।



বুধবার ভোর থেকে প্রবল বৃষ্টির ফলে গোটা কুচবিহার শহর কার্যত জলের তলায়৷ বন্যার আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে৷ এ পরিস্থিতিতে বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের বড় অংশ জুড়েই তাই বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়৷ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷

ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির পক্ষে থেকে একটি স্মারক লিপি জেলা শাসক মোহন গান্ধীর মাধ্যম দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, স্মারকলিপিটি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জেলা শাসক ও এসপিকে নির্দেশ দেন এই বিষয়ে বিস্তারিত রির্পোট দেওয়ার জন্য।

এরপর কুচবিহার স্টেডিয়ামের জনসভায় কুচবিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, মাথাভাঙা-সুটুঙ্গা সেতুর উদ্বোধন, হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেসসহ ৩টি ট্রেনের উদ্বোধন, সংখ্যালঘু নারীদের মধ্যে সাইকেল বিতরণ কর্মসূচির সূচনা, কুচবিহারে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির ঘোষণা, জেলায় আইআইটিসহ ১০টি পলিটেকনিক কলেজ, একটি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট এবং একটি জুট ইন্ডাস্ট্রি হাব তৈরির ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী।

একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, জলপাইগুড়ি জেলা ভেঙে পৃথক আলিপুরদুয়ার জেলা তৈরির কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে৷

সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে তিনি জানান, বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে সব রকমের সাহায্য করবে প্রশাসন৷

প্রবল দুর্যোগ উপেক্ষা করেই জনসভায় কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত হন৷ জল-কাদা ভেঙে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন৷

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়,  অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।