গুয়াহাটি/শিলিগুড়ি: গোষ্ঠী সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ কোকরাঝাড়, চিরাং, বঙ্গাইগাঁওসহ আসামের বেশ কিছু জেলা৷ মঙ্গলবার সেই সংর্ঘষ ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের আসাম সীমান্তবর্তী আলিপুরদুয়ারেও।
আসামের বিভিন্ন জেলার গোষ্ঠী সংঘর্ষের রেশ এসে পৌঁছেছে আসাম-বাংলার সঙ্কোশ নদীর সীমান্তে।
সকাল থেকেই সেখানে ‘আগুন জ্বলছে’। বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চলে। গুলির আঘাতে এক মহিলা জখম হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশ প্রশাসন যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, আসামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যথাসম্ভব ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং৷
ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছেন ২১ জন৷ হিংসা কবলিত মানুষের সংখ্যা কমপক্ষে ৬০ হাজার। ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণশিবিরে। অসংখ্য মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন৷ স্থানীয় স্কুল এবং ক্লাবগুলোতে তাদের প্রাথমিকভাবে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে৷
আসাম পুলিশ জানিয়েছে, কোকরাঝাড় জেলায় অনির্দিষ্ট কার্ফু জারি করা হয়েছে৷ অন্যদিকে, চিরাং এবং ধুবুড়ি জেলায় কার্ফু থাকছে শুধু রাতের বেলা।
মুখ্যমন্ত্রী গগৈ জানিয়েছেন, হিংসা কবলিত এলাকাগুলোতে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাঠানো হয়েছে আধাসেনাও।
এ হিংসার জেরে বিপর্যস্ত ট্রেন চলাচলও৷ মঙ্গলবার বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে দূরপাল্লার মোট ১৭টি ট্রেন৷ গুয়াহাটিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস আটকে পড়ে কামাখ্যাগুড়ি স্টেশনে৷ দিল্লিমুখী রাজধানী এক্সপ্রেসকে নিরাপত্তার কারণে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় গুয়াহাটিতে৷
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর