আগরতলা (ত্রিপুরা): নিজেকে তফসিলি জাতিভুক্ত বলে দেওয়া জাল সনদপত্রের কারণে বিধায়ক পদ বাতিল হতে যাচ্ছে বামফ্রন্টের এক বিধায়কের।
বামফ্রন্টের বিধায়ক পার্থ দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি নিজেকে তফসিলি জাতির নাগরিক ঘোষণা দিয়ে জাল সনদপত্র সংযুক্ত করে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, বিরোধী দল নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। সোমবার রাতে সেই তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, পার্থ দাসের তফসিলি জাতির সনদপত্রটি জাল। ফলে তার বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাবে।
রাজ্যের তফসিলি জাতি সুরক্ষা সমিতির সম্পাদক বিপ্লব চন্দ্র সরকার এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিধায়ক পার্থ দাসের জাল করা রাজ্যের তফসিল কল্যাণ দফতরের তফসিলি জাতির সনদপত্রটি বাতিল করা হল।
পশ্চিম জেলা সম্পাদক বিপ্লব চন্দ্র সরকার এবং সহ সম্পাদক সুভাস চন্দ্র বিশ্বাস তদন্ত কমিটিতে সাক্ষ্যদান কালে জানান, পার্থ দাসের পিতা মৃত পরেশ দাস পোস্টমাস্টার হিসাবে চাকরি করার সময়ের সার্ভিস বুকের যে পত্রলিপি পেশ করেন, তাতে তিনি হিন্দু কায়স্থ বলে নিজের পরিচয় লিখেছিলেন। খয়েরপুর পল্লীমঙ্গল স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় পার্থ দাসকে তার ভর্তি ফরমে নিজেকে সাধারণ বলে পরিচয় দেন। আগরতলা পুরপরিষদের তফসিলি জাতির কল্যাণ কমিটিও যে রিপোর্টের প্রতিলিপি পেশ করে, তদন্ত কমিটি তাদের সাক্ষ্য-প্রমাণ এবং তথ্যভিত্তিক নথিপত্রের ভিত্তিতেই তদন্ত প্রতিবেদন ঘোষণা করেন।
আইন অনুযায়ী পার্থ দাসের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দানেরও দাবি জানান তারা।
পার্থ দাসকে অন্যায় ও অবৈধভাবে বিধায়ক হিসাবে তার সময় অতিক্রম করার সুযোগ দানের মতো জঘণ্য কাজের জন্য বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধেও তীব্র নিন্দা জ্ঞাপণ করেন তারা। রাজ্যের সকল অংশের মানুষকেও এই প্রতিবাদে সোচ্চার হতে আবেদন জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১২
তন্ময় চক্রবর্তী/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর