কলকাতা: ইস্টার্ন গ্রিড বিকল হওয়ার বিদ্যুৎ বিপর্যয় নেমে এসেছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। মঙ্গলবার দুপুর ১টা নাগাদ এ বিপর্যয় ঘটে৷
এর ফলে কলকাতাসহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে৷ শোডশেডিং চলছে মহানগরীর বহু এলাকায়।
তবে ডিজেল ইঞ্জিনের সাহায্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা শুরু হয়েছে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে।
প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হলেও পরে কলকাতার মেট্রো পরিসেবাও কিছুটা ব্যাহত হয়।
কলকাতায় বিদ্যুৎ প্রদানকারী সংস্থা সিইএসসি’র সব ইউনিট চলছে৷ তবে তাদের আওতাভুক্ত এলাকাগুলোতে এ বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে। কেবলমাত্র সিইএসসি’র এলাকাতেই বিদ্যুত্ ঘাটতি দাঁড়ায় ৫০০ মেগাওয়াটে। খুব তাড়াতাড়ি ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত৷
চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন সাধারণ মানুষ৷ কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে সল্টলেক ও রাজারহাটের তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে। ব্যাহত হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ভেঙে পড়েছে এটিএম পরিষেবা।
বহু অফিসে সব ধরনের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷স্কুল ও কলেজগুলোতে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি কিছুটা বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি মহাকরণে সরকারি অফিসে ছুটি ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অন্তত ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগবে৷ ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
তবে এর মধ্যেও মেট্রোকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সিইএসসি৷ কলকাতায় তাদের বিদ্যুৎ ঘাটতি ৬০০ মেগাওয়াট৷
সিইএসসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইস্টার্ন গ্রিড বিকল হয়ে যাওয়ায় তাদের বিদ্যুতের জোগানে টান পড়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জরুরি পরিসেবাগুলো সচল রাখার চেষ্টা হচ্ছে।
রাজ্যের বিদ্যুৎ সচিব জানিয়েছেন, বক্রেশ্বরের একটিমাত্র ইউনিট সচল রয়েছে৷ আর কোনো ইউনিটে কোনো কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না৷ কয়েকটি অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্রে বিদ্যুত্ সরবরাহ করা হচ্ছে৷ তবে মেট্রো পরিসেবা এখনো স্বাভাবিক৷
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর