কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ফেসবুকে ব্যঙ্গচিত্র (কার্টুন) প্রকাশক সেই অধ্যাপককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সোমবার রাজ্য সরকারকেই উল্টো নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন।
মুখ্যমন্ত্রীর কার্টুন ফেসবুকে প্রকাশের অভিযোগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র ও সুব্রত সেনগুপ্তকে গ্রেফতার করে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিস।
ওই ঘটনায় অম্বিকেশ মহাপাত্র ও সুব্রত সেনগুপ্তের সম্মানহানি হয়েছে বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। তাই তাদের দু`জনকে ৫০ হাজার রুপি করে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক ও তার সঙ্গীকে হেনস্তার অভিযোগে পূর্ব যাদবপুর থানার দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মানবাধিকার কমিশন।
অপর দিকে, অতি সক্রিয়তার জন্য পূর্ব যাদবপুর থানার অ্যাডিশনাল ওসি মিলনকুমার দাস ও সাব ইনন্সপেক্টর সঞ্জয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতার ব্যঙ্গচিত্র ফেসবুকে ছাপার অভিযোগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়াসনের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কো-অপারেটিভের সেক্রেটারি সুব্রত সেনগুপ্তকেও গ্রেফতার করা হয়।
সেদিন রাতে বাড়ি ফেরার পথে ওই অধ্যাপকের পর চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতকারী। তারা নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলে পরিচয় দেয়।
অধ্যাপককে মারধর করার পাশাপাশি তাকে দিয়ে ‘আমি সিপিআইএম’র সক্রিয় সদস্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ইমেল পাঠিয়েছি’ বলে মুচলেকা লিখতে বাধ্য করা হয়।
এরপর পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেয় হামলাকারীরা। হাউসিং সোসাইটির মেইল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যঙ্গচিত্র শেয়ার করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সোসাইটির সেক্রেটারি সুব্রত সেনগুপ্তকেও।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর