আগরতলা (ত্রিপুরা): কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষাকে জাতি গঠনের মাধ্যম হিসেবে গণ্য না করে পণ্য হিসাবে দেখছে বলে অভিযোগ করলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
তিনি বলেন, “কেন্দ্রের এ শিক্ষানীতি রাজ্য মানছে না।
দেশের ৬৬তম স্বাধীনতা দিবসে রাজ্যের রাজধানী বিবিএমসি কলেজের নবনির্মিত ভবন এবং প্রশাসনিক ও পাঠদান ভবনের উদ্বোধন করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা নীতির তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
তিনি বলেন, “যে শিক্ষা নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চলছে তাতে শুধু বড় লোকের ছেলে-মেয়েরা পড়ার সুযোগ পাবে। গরীব ঘরের ছেলে-মেয়েরা শিক্ষাঙ্গন থেকে ঝরে যাবে। ”
মানিক সরকার বলেন, “রাজ্য সরকার বাজেটের ২৩ শতাংশই শিক্ষা খাতে খরচ করে। রাজ্যে ২২টি কলেজ এবং ৪ হাজার ৬০০টি বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে ৮ লাখ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।
সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার। প্রতি ২০ থেকে ২২ জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য একজন শিক্ষক রয়েছেন। ”
শুধু ধলাইতেই নয়, প্রতিটি জেলাতেই মেয়েদের জন্য পলিটেকনিক কলেজ এবং প্রতিটি মহকুমাতেই আইটিআই গড়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি।
কলেজে ছাত্র সঙঘর্ষের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কলেজে ছাত্রদের মধ্যে সঙঘর্ষ হবে কেন, তাদের গঠনমূলক হতে হবে। ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক মিলেমিশে একসঙ্গে চললে শিক্ষার জগতে কোনো বাধা আসবে না। ”
মানিক সরকার বলেন, “উচ্চশিক্ষার জন্য অদূর ভবিষ্যতে রাজ্যের ছেলেমেয়েদের বাইরে যেতে হবে না। আমরা উচ্চ শিক্ষায় ৫০ ভাগ এগিয়ে যেতে চাই। ৩ বছরের মধ্যেই বিবিএমসি সংলগ্ন আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী অনিল সরকার, সচিব কিশোর আম্বুলি, অধিকর্তা বিপ্রদাস পালিত, মুখ্য সচিব এসকে পান্ডা, বিধায়ক গোপাল রায় ও বিবিএমসি’র অধ্যক্ষ ড. গোপাল মনি দাস উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময় : ১২৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১২
সম্পাদনা : কাজল কেয়া, নিউজরুম এডিটর, সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর
Kumar.sarkerbd@gmail.com