ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতার নারীদের মরিচের গুঁড়া রাখার পরামর্শ

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১২

কলকাতা: আপনি কর্মরত কিংবা গৃহবধু ? আপনি মহিলা নিগ্রহের ঘটনায় আতঙ্কে ভুগছেন? তাহলে আপনার ব্যাগে অবশ্যই কাঁচি, কাঁটা চামচ রাখুন। হাতের কাছে সব সময় লঙ্কার (মরিচ) গুঁড়ার স্প্রে অথবা নিদেনপক্ষে একটি কোলন বা ডিওডোরেন্ট রাখুন।

অতর্কিতে কোনো দুষ্কৃতীর হামলা বা শ্লীলতাহানির চেষ্টার বিরুদ্ধে এই সব ‘অস্ত্র’ নিয়ে সাহসের সঙ্গে প্রতিরোধ করতে হবে আপনাকেই। আপনাকেই। আত্মরক্ষার দায়িত্ব আপনারই।

এমনটাই মনে করছে কলকাতা পুলিশ। শহরে নারীদের ওপর ক্রমশ বাড়তে থাকা আক্রমণের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ এমনই পরামর্শ দিচ্ছে। মৌখিক পরামর্শ নয়, রীতিমতো ছাপিয়ে তা বিলি করা হচ্ছে।

নাগরিক সচেতনতার জন্য কলকাতা পুলিশের প্রচার নতুন নয়। কিন্তু রাজ্যের তৃণমূল জোট সরকারের সময়কালে ক্রমাগত নারীদের ওপর হিংসা, শারীরিক নিগ্রহের ঘটনা বাড়তে থাকায় পুলিশের তরফে বাধ্য হয়ে নারীদের ‘ব্যক্তিগত সুরক্ষার কয়েকটি সহজ পরামর্শ’ দেওয়া হচ্ছে। যাতে স্পষ্ট, আপনার নিরাপত্তা, আপনার হাতেই। কলকাতা পুলিশের তরফে ১৬ পাতার এই প্রচার বুলেটিন ‘নাগরিকদের নিরাপত্তা বিষয় পরামর্শ’ বিলি করা হয়েছে।

এই বুলেটিনে নারীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য পুলিশ যেরকম পরামর্শ দিয়েছে তা হলো— সজাগ থাকুন যদি আপনার দিকে অসৎ উদ্দেশ্যে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখেন, চিৎকার করুন, প্রতিরোধ করুন। হাতের কাছে লঙ্কার গুঁড়ো স্প্রে, ডিওডোরেন্ট রাখুন, বাড়িতে ছোট অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখুন। সম্ভব হলে বন্ধু বা সহকর্মীদের সাথে চলুন। আত্মবিশ্বাসী থাকুন, নিরাপদ নয় বুঝতে পারলেও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে হাঁটুন। যদি কাউকে বা কিছু দেখলে অস্বস্তি বোধ হয় তাহলে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে যান।

আবার একা বাইরে বেরোলে নারীদের সঙ্গে থাকা ব্যাগে কলম, কাঁচি, চামচ নিয়ে বেরোনোর জন্যও অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। প্রয়োজন হলে যাতে আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে তা ব্যবহার করা যায়।

কলকাতা পুলিশের তরফে এই প্রচারপত্রেই বলা হয়েছে, একা থাকা নারীরা সম্ভাব্য আক্রমণকারীর কাছে সহজ লক্ষ্য। অতএব তাদের উদ্দেশ্যে গুচ্ছ পরামর্শ পুলিশের।

প্রশ্ন উঠছে পুলিশ পরামর্শ দিতেই পারে কিন্তু শুধুই পরামর্শ দিতে থাকলে শহরবাসীর নিরাপত্তাহীনতা আরো বাড়বে না তো? সর্বত্রই দাবি উঠছে, নিজেদের দায়িত্ব পালন করুক পুলিশ।

প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা যেভাবে নারীদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনাকে সাজানো ঘটনা বলে মন্তব্য করছেন, কখনও বা সংবাদমাধ্যমের ঘাড়েই দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন তাতে অপরাধীদেরই প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: রানা ‍রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।