ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

সুচিত্রা জল নিজে হাতে পান করলেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৪
সুচিত্রা জল নিজে হাতে পান করলেন

কলকাতা: গতরাতে ভাল ঘুমিয়েছেন সুচিত্রা সেন। শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত।

রাতে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।

নার্সিংহোম সূত্রে খবর- তাঁর অক্সিজেন বন্ধ করা যাচ্ছে না। অক্সিজেন মাস্ক খুললেই শুরু হচ্ছে শ্বাসকষ্ট। রাইলস টিউবের মাধ্যমেই তাঁকে খাওয়ানো হচ্ছে। তবে জল নিজে হাতেই পান করলেন তিনি। তাঁর হোমোজিনিয়াস ডায়েট বেঁধে দিয়েছেন নিউট্রিশনিষ্ট।

সুচিত্রা সেনের খাবারে পুষ্টির মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। এন্ডোট্র্যাকিয়াল টিউব খুলে দেওয়ার পর, মহানায়িকার বুকের কফ বের করাই এখন চিকিত্সকদের মূল চিন্তার বিষয়।

শরীর দুর্বল হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ ফিজিওথেরাপি নিতে পারছেন না তিনি। মহানায়িকার সঙ্গে রাতভর হাসপাতালে ছিলেন তাঁর মেয়ে মুনমুন সেন।

সোমবার সন্ধেবেলা বেলভিউতে গিয়ে সুচিত্রা সেনকে দেখে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেলে সঙ্কট বেড়েছিল বলে জানানো হয় মেডিক্যাল বুলেটিনে। খুলে ফেলা হল এন্ডোট্র্যাকিয়াল টিউব।

সোমবার দুপুরে বৈঠকে বসে মেডিক্যাল টিম। ডেকে পাঠানো হয় সুচিত্রা সেনের পরিবারকে। তারপরই পরিবারের সম্মতিতে এন্ডোট্র্যাকিয়াল টিউব খুলে ফেলার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন চিকিত্‍সকরা।

ওই টিউবের মাধ্যমে ফুসফুসের অক্সিজেন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। চিকিত্‍সক সুব্রত মৈত্র জানান টিউবটির কাজের মেয়াদ ফুরিয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত। রোববার থেকে টানা উদ্বেগ। কখনও সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হয়েছে। তো কখনও সঙ্কট গভীর হয়েছে।

শুরু থেকেই হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ, কিডনি মোটামোটি স্বাভাবিক ছিল সুচিত্রা সেনের। তাঁর মূল সমস্যা ছিল ফুসফুসে। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন এখনও তাঁর ফুসফুসে জল জমে রয়েছে। এই সমস্যার বিশেষ কোনও উন্নতি হয়নি। যা চিন্তায় রেখেছে চিকিত্‍সকদের।  

বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৪,
সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, আউটপুট এডিটর কো-অর্ডিনেশন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।