কলকাতা: এবার স্বাধীন কোচবিহার রাষ্ট্রের দাবিদার বাংলাদেশে আত্মগোপনকারী কামতাপুরি লিবারেশন অর্গানাইজেশনের(কেএলও) শীর্ষনেতা জীবন সিংহ আত্মসমর্পণ করতে চান বলে জানা গেছে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আহ্বানে সাড়া দিয়ে মাওবাদীদের কয়েকজন শীর্ষ নেতার আত্মসমর্পণ করেন।
বাংলাদেশে আত্মগোপনকারী জীবন সিংহের অনুগামীদের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছেন।
রাজ্য প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গান্ধীর মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যসচিব সমর ঘোষ কাছে কোনো রকম শর্ত ছাড়াই আলোচনায় বসার প্রস্তাব পাঠিয়েছে কেএলওর কেন্দ্রীয় কমিটির আট সদস্য।
সূত্র আরও জানিয়েছে, আট জন সদস্যের মধ্যে রয়েছেন কেএলওর সহ-সভাপতি হর্ষবর্ধন বর্মন, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সিংহ, পুলস্ত্য বর্মন, মিল্টন বর্মা, টম অধিকারী, নীলাম্বর রাজবংশী, কালিয়া বর্মা ও মালখান সিংহ। সবাই জামিন পেয়েছেন।
কেএলওর তরফে সদ্য জেল থেকে ছাড়াপ্রাপ্ত টম অধিকারী বলেন, ‘দাবি আদায়ের জন্য কোনও সশস্ত্র লড়াইয়ের রাস্তায় আমরা আর হাঁটব না। আমরা আলোচনাপন্থী। মুখ্যমন্ত্রী মাওবাদীদের মূলস্রোতে ফেরাতে আলোচনার ওপরে জোর দিয়েছেন। আমরাও আলোচনা চাই। আমাদের সংগঠনের চেয়ারম্যান জীবন সিংহও আলোচনা চাইছেন। রাজ্য সরকার আলোচনা শুরু করলে চেয়ারম্যানকে সামিল করা হবে। তাকে আনার দায়িত্ব আমরাই নেব। ’
এদিকে, রোববার জলপাইগুড়ি জেলার বেলাকোবায় কেএলওর পক্ষে প্রথম জনসভা করা হবে বলে জানান।
কেএলও নেতারা জানান, আর স্বাধীনতার দাবি নয়, কামতাপুরিদের নিজস্ব ভাষার স্বীকৃতি আদায় হল প্রথম ও প্রধান দাবি। সেই সঙ্গে জলপাইগুড়িসহ উত্তরবঙ্গের বেকারত্ব ঘোচাতে করবিহীন শিল্পতালুক গড়া, কোচবিহারে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন, দূরদর্শন কেন্দ্রসহ হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ চালু করার দাবি তারা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘন্টা, নভেম্বর ২০, ২০১১