আগরতলা (ত্রিপুরা) : রাজ্যের সাধারণ ডিগ্রি কলেজেগুলোতে নির্বাচন হবে শুক্রবার। এ দিনই নির্বাচনের পর ভোট গণনা হবে।
রাজ্যে এখন সাধারণ ডিগ্রি কলেজ রয়েছে ১৫টি। এর মধ্যে নির্বাচন হবে ১২টি কলেজে। বাকি ৩টি কলেজে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে দুই বামপন্থী ছাত্র সংগঠন।
১২টি কলেজের মধ্যেও প্রায় ৬০ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন দুটি। এই ১২ কলেজের ২৭৪টি আসনে হবে নির্বাচন। গুরত্বপূর্ণ সবকটি পদেই সব ছাত্র সংগঠন তাদের প্রার্থী দিয়েছে।
মূলত প্রতিদ্বন্দ্বীতা হচ্ছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই– টিএসইউ জোট এবং কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই ও স্থানীয় উপজাতি ছাত্র সংগঠন টিএসএফ’র মধ্যে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগরতলাসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চরম উত্তেজনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজ্যের কলেজ নির্বাচনের উত্তাপ কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বাইরে এসেও লাগছে। কলেজ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে বেশ কিছু ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। এতে মামলা-পাল্টা মামালাও হয়েছে। রাজ্যের সবকটি কলেজেই নিয়োগ করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী।
দু’পক্ষেরই বর্তমান এবং প্রাক্তন ছাত্র নেতারা এবার কলেজ নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিয়েছেন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্ররা বাড়ি বাড়ি প্রচার যেমন চালাচ্ছেন, তেমনি প্রচার চলছে মিছিল, সভা ও গান-নাটকের মধ্য দিয়েও।
কলেজের ছাত্র সংগঠনের নির্বাচনকে উপলক্ষ করে এখন সম্মুখ সমরে রাজ্যের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ও সিপিআই (এম)।
বিগত আনেক বছর ধরেই বামপন্থী ছাত্র সংগঠন দুটি রাজ্যের প্রায় সব কলেজগুলোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে আসছে। শুধু গত বছর অল্পকিছু আসনে ভোট হয়। এবারই ব্যাপক আসনে নির্বাচন হচ্ছে সরাসরি। যদিও তিনটি কলেজের কোনো আসনেই প্রার্থী দিতে পারেনি কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই ও স্থানীয় উপজাতি ছাত্র সংগঠন টিএসএফ। ফলে ওই ৩টি কলেজে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে দুই বামপন্থী ছাত্র সংগঠন।
বাংলাদেশ সময় : ১২২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১১