কলকাতা : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আসামের গৌহাটিতে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলা তথা মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন বাঙালি, অসমিয়া, কার্বি, বড়ো, খাসি, কোচ-সহ নানা ভাষাভাষী মানুষ।
আসাম সরকারের তথ্য-সংস্কৃতি দফতর, অসম সাহিত্যসভা এবং কটন কলেজের বাংলা বিভাগের সহায়তায় জেলা গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহে সকাল থেকে রাত অবধি আলোচনা, কবি সম্মেলন, গান, পাঠ, আলোচনাসভা, চলচ্চিত্র এমনকি জাদু প্রদর্শনও চলল।
এর পাশাপাশি, জাতীয় অনুবাদ কর্মশালাও। কটন কলেজে অসমিয়া ছোট গল্পগুলো বাংলায় অনুবাদের কর্মশালার উদ্বোধন করেন সাহিত্যিক নিরুপমা বঢ়গোহাঁই।
ভাষা সংস্কৃতি মিলনোৎসবে প্রকাশিত হল উত্তর-পূর্বের শৈব নাথ সম্প্রদায় নিয়ে হিরণ্ময় নাথের বই, মীর মোশারফ হোসেনকে নিয়ে দেবযানী দে’র গবেষণা গ্রন্থ ও পদুমি গগৈয়ের কাব্যগ্রন্থ ‘অনাবিল পোহরর স্পর্শ’। তিন দিন ধরে চলবে এই মিলনোৎসব।
বরাক উপত্যকায় শিলচরসহ বিভিন্ন স্থানে ভাষা-শহীদ রফিক-বরকতদের স্মরণ করা হল পরম শ্রদ্ধায়। ১৯৬১ সালে বাংলাভাষার মর্যাদা রক্ষায় প্রাণ দেওয়া কাছাড়ের একাদশ শহীদের বেদিতেই পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয় একুশের শহীদদের উদ্দেশে।
শিলচর স্টেশন প্রাঙ্গণে যৌথভাবে বহুভাষিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চ ও ভাষা শহীদ স্টেশন স্মরণ সমিতি। সেখানে ডিমাসা, মণিপুরী, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ও বড়ো জনগোষ্ঠীর শিল্পীরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, শিলচর বঙ্গভবনে, গাঁধীবাগে তো বটেই, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দিতেও নানা অনুষ্ঠান ও আলোচনায় স্মরণ করা হল ভাষা শহীদদের।
ভারতীয় সময় : ১০৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১২