কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে বাম শ্রমিক সংগঠনগুলোর ডাকা হরতালে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। কলকাতাসহ শহরাঞ্চলগুলোতে সকাল থেকে সরকারি বাস ও অন্যান্য পরিষেবা চোখে পড়লেও সার্বিকভাবে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নামেননি।
এদিনে হরতালে শিল্পাঞ্চলগুলিতে ভালোই সাড়া পড়েছে। তারাতলা, হাওড়া, আসানসোল এবং ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে হাজিরার হার বেশ কম। কলকাতার তারাতলা শিল্পাঞ্চলে সরকারি বাস চললেও বেশিরভাগ মানুষই কাজে আসেননি।
প্রভাব পড়েছে বর্ধমান জেলার আসানসোলের কলকারখানাগুলিতেও। বেশকয়েকটি কারখানার সামনে পিকেটিং করতেও দেখা গেছে বাম শ্রমিকদের।
উত্তর ২৪ পরগণার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলেও হরতালের প্রভাব পড়েছে। বেশিরভাগ মানুষই কাজে যোগ দেননি। হাওড়ার বেলিলিয়াস এবং দাসনগর শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানাগুলি বন্ধ। এই শিল্পাঞ্চলের বড় কারখানাগুলিতে মিশ্র প্রভাব পড়েছে। হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে হরতালের ফলে কর্মজীবন ব্যহত হয়েছে।
অন্যদিকে হরতালের মোকাবিলায় সার্বিকভাবে মাঠে নেমেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এদিন সরকারি কর্মীদের হাজিরা নিশ্চিত করতে সব পরিবহনই সচল রাখার প্রশাসনিক নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে কড়া বার্তা দিয়েছেন সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কেউ যদি হরতালের দিন কাজে যোগ না-দেন তাহলে তার সার্ভিস ব্রেক হতে পারে। আবার রাস্তায় কেউ হরতালের সমর্থনে জোর-জুলুম করলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমনীতি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ, মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ১১টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন একযোগে হরতালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাম শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে এতে সামিল হয়েছে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বন্ধ, ন্যূনতম মজুরি আইনের পরিবর্তন, সব শ্রমিকের অবসরকালীন সামাজিক সুরক্ষা, সব সংস্থায় শ্রমিক সংগঠনের বাধ্যতামূলক নথিভুক্তি সহ একগুচ্ছ দাবিতে হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১২