আগরতলা (ত্রিপুরা) : ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি আশ্রয় নিয়েছিলাম আগরতলায়। সেই থেকে আগরতলার সঙ্গে আমার আবেগের সম্পর্ক।
এদিন থেকেই শুরু হয়েছে ৩০তম আগরতলা বইমেলা। উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বইপ্রেমী মানুষের উদ্দীপনায় শুরু হয়েছে মেধা ও মননের এ উৎসব। শিশু উদ্যানে উদ্বোধনের পর থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে।
মানিক সরকার বলেন, ‘রাজ্যের উন্নয়নে ভূমিকা রয়েছে বইমেলার। বিশ্ব সংকটের প্রেক্ষিতে উঠা পরিবর্তনের হাওয়া ঝড় তৈরি করতে পারে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। এর জন্য মানুষকে তৈরি করতে বই ভূমিকা নিতে পারে বলেও জানান মানিক সরকার।
অনুপম সেন বলেন, রেনেসাঁসের পেছনেও ছিল বইয়ের অবদান। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, অবিভক্ত বাংলা, আসাম ও ত্রিপুরা নিয়ে ছিল প্রাচীন বঙ্গভূমি। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী অঞ্চল ছিল এটা। বাংলার ঐশ্বর্য দেখেই বিদেশি সাম্রাজ্যবাদীরা এখানে ছুটে এসেছিল।
তিনি বলেন, ‘এই বাংলা থেকেই লুণ্ঠিত সম্পদ দিয়ে তারা তাদের দেশ সাজিয়েছে। সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। আগরতলা বইমেলাকে অভাবনীয় সুন্দর বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী অনিল সরকার, শিল্প মন্ত্রী জিতেন্দ্র চৌধুরী, আগরতলা পুর পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফুল্লজিত সিনহা প্রমুখ।
উদ্বোধনের পরই বইমেলা মঞ্চে প্রকাশিত হয়েছে বেশ কিছু বই। এবারের বইমেলায় স্থানীয় প্রকাশকদের ছয়শর বেশি নতুন বই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।
প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেলা। ছুটির দিনগুলোতে বইমেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
এ বছর বইমেলাতে রয়েছে ১৪৮টি স্টল। এর মধ্যে রাজ্যের ৭৬, কলকাতার ৫৩, দিল্লির ৭, গুয়াহাটির ১০ এবং বাংলাদেশের ১টি।
১২ দিনের এ বইমেলায় পালন করা হবে বিভিন্ন দিবস।
বইমেলাকে কেন্দ্র করে চলবে সাহিত্য-সংস্কৃতির আলোচনা এবং উপস্থাপনা।
বাংলাদশে সময়: ০২৪০ ঘণ্টা, র্মাচ ১, ২০১২