ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মমতার কাছে নতুন দাবি মোর্চার শীর্ষ নেতৃত্বর

কলকাতা বু্রো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫১ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১২

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দ্বিতীয় দিনের দার্জিলিং সফরে নতুন দাবি করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।

প্রস্তাবিত জিটিএ-কে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের অধীনে রাখা চলবে না, শুক্রবার কালিম্পং-এ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এই দাবি করেন মোর্চা নেতারা।



তাদের দাবি, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন আগামী ১০- ১২ দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে যাবে জিটিএ। এদিন বিকেলে কালিম্পংয়ের ডেলো পর্যটন আবাসে মোর্চা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী।

বৈঠকের পর মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ছাড়পত্র পেয়েছে জিটিএ। প্রধানমন্ত্রীর দফতর হয়ে তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য যাবে। গোটা প্রক্রিয়া শেষ হতে ১০-১২দিন সময় লাগবে বলে মুখ্যমন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করেছেন।

এছাড়াও জিটিএ-র নির্বাচনের আগেই এলাকা বিন্যাস সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা নিষ্পত্তিরও দাবি বৈঠকে জানিয়েছে মোর্চা।

এছাড়াও মোর্চা নেতাদের যে দাবিগুলো জানিয়েছে তা হল,জিটিএ-র অন্তর্গত এলাকায় পুলিশ নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার,গোর্খ্যাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনের সময় বহু লোকের নামে এফআইআর হয়েছে, তাদের নাম থেকে সেই মামলাগুলি প্রত্যাহার করতে হবে,দার্জিলিংয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি মেডিকেল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নির্মাণ করতে হবে।

মোর্চা নেতাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করেছেন। স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি এফআইআর-এর বিষয়টি দেখছে। পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এখনই যেন কাউকে গ্রেফতার না করা হয়।

এদিকে, বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রর বক্তব্য, পাহাড়ে শান্তি ফিরলে ভালই। তবে, এটা শান্তি না আরও বড় অশান্তি তৈরির লক্ষ্মণ, তা সময় বলবে।

কলকাতার রাজনৈতিক মহলের মতে, উত্তরবঙ্গের ৬টি জেলাকে নিয়ে গঠিত উত্তরবঙ্গ পরিষদ।   সেই পর্ষদের অধীনে জিটিএ না রাখার নতুন দাবি জানিয়ে নয়া বিতর্ক উস্কে দিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। এরইমধ্যে দিয়ে সুকৌশলে গোর্খাল্যান্ড ইস্যু জিইয়ে রাখল তারা।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।