কলকাতা: ২ সিপিএম নেতা হত্যার ময়নাতদন্তের রির্পোট জমা না পড়ায় রাজ্য সরকারকে তিরস্কার করেছেন কলকাতা হাইকোর্ট।
সম্প্রতি বর্ধমানে এক সাবেক বিধায়কসহ দুই সিপিএম নেতার হত্যার পর ১০ দিন কেটে গেলেও এখনও ময়না তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে না পারায় রাজ্য সরকারকে শুক্রবার তিরস্কার করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জয় নারায়ণ প্যাটেল।
এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ প্যাটেল ও বিচারপতি সমৃদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।
মামলাকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, একই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভিন্ন ভিন্ন মতামত পেশ করা হয়েছে। তাছাড়া এফআইআরে ২২ জন তৃণমূল সমর্থকের নাম থাকা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত মাত্র ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে পুলিশি হেফাজতেও নেওয়া হয়নি।
তাদের দাবি, এক্ষেত্রে এ হত্যা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হচ্ছে না। ফলে মামলাটির সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার জন্য আর্জি জানানো হয়। পরে বিচারকরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখতে চাইলে তা এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানান সরকার পক্ষের আইনজীবী।
সরকারি আইনজীবীরা বিগত বাম আমলের দোহাই দিয়ে জানান, গত ৩৪ বছরে এই নিয়ম চলে আসছে। তাদের দাবি, গত ৩৪ বছর প্রশাসনের হাল বেহাল করেছে রাজ্য সরকার।
এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘গত সরকারের দোহাই দিয়ে এরকম অবস্থা চলতে পারে না। ফলে আজই দুপুর ২টার মধ্যে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ’
পরে বেলা ২টার মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও কেস ডায়েরি দেখার পরই এ বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে কিনা তার রায় দেবেন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
এরপর বেলা ২টায় রির্পোট জমা দেয় পুলিশ। এ নিয়ে শুরু হয় বির্তক। কারণ, পুলিশ আদালতে জানায়, শুক্রবারই তারা ময়না তদন্তের রির্পোট পেয়েছে। কিন্তু দেখা যায়, ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক ওই রির্পোট ২২ ফেব্রুয়ারি জমা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের সাবেক বিধায়ক প্রদীপ তা ও সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য কমল গায়েনের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১২